গত রবিবার দুর্বল ওড়িশা এফসি’কে হারিয়ে চলতি আইএসএলে প্রথম জয় পেয়েছে এসসি ইস্ট বেঙ্গল। যা রবি ফাউলার ব্রিগেডের মনোবল বাড়িয়েছে। তবে বুধবার সন্ধ্যায় এফসি গোয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে লাল-হলুদকে। প্রতিপক্ষ দলে রয়েছেন নিয়মিত গোলের মধ্যে থাকা ইগর অ্যাঙ্গুলো। ৯টি ম্যাচে ৯টি গোল রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাই বুধবার অগ্নিপরীক্ষার মুখোমুখি ড্যানি ফক্স-স্কট নেভিলরা। উল্লেখ্য, এফসি গোয়ার মাঝমাঠও বেশ ভালো। এডু বেদিয়ার সঙ্গে রয়েছেন লেনি ও ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ। । বুধবার এই ‘ত্রিফলা’ ইস্ট বেঙ্গল ডিফেন্ডাররা কীভাবে সামলান, তার উপরই নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্য।
এই আইএসএলে লাল-হলুদ জার্সি পরে প্রথম ম্যাচ থেকেই নজর কেড়েছেন মাঘোমা ও পিলকিংটন। গত ম্যাচেও দলের জয়ে স্কোরশিটে নাম তুলেছিলেন এই দুই বিদেশি ফুটবলার। তাই গোয়ার শক্ত চ্যালেঞ্জ টপকাতে হলে আরও একবার মাঘোমা ও পিলকিংটনের দিকেই তাকিয়ে লাল-হলুদ সমর্থকরা।
গোয়ার কোচ হুয়ান ফেরান্দো বলেছেন, ‘লিগ টেবিলে দশম স্থানে থাকলেও আমরা এসসি ইস্ট বেঙ্গলকে হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। গত কয়েকটি ম্যাচে ওরা সংঘবদ্ধ ফুটবল খেলেছে। সবচেয়ে বড় কথা, ওদের উপর প্রত্যাশার চাপ নেই। খোলা মনে খেলতে পারবে ফাউলারের দল। এটা পিলকিংটনদের বড় সুবিধা।’
ইস্ট বেঙ্গল কোচের বক্তব্য, ‘শেষ চারটি ম্যাচে আমরা ক্রমশ উন্নতি করছি। গত তিনটি ম্যাচে দল অপরাজিত। যা আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। গোয়া পজেশনাল ফুটবল খেলে থাকে। তাই ওদের পাসিং ফুটবল সামলাতে হলে ওপেন স্পেস দেওয়া চলবে না। তবে গোয়ার রক্ষণেও দুর্বলতা আছে। যা কাজে লাগাতে পারলে তিন পয়েন্ট পাওয়া অসম্ভব নয়। আমরা ওদের গুরুত্ব দিচ্ছি। কিন্তু সমীহ করছি না। এটা ঠিক যে, দু’সপ্তাহ আগে গোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে হলে আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়তাম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আলাদা। গত কয়েকটি ম্যাচে মিডফিল্ডাররা ভালো খেলছে। পরিকল্পনামাফিক হচ্ছে আমাদের উইং প্লে’ও। ব্রাইট আসায় মিটেছে বক্স স্ট্রাইকারের সমস্যাও। অভিষেক ম্যাচে ও গোল পেয়েছে। তবে বুধবার প্রথম থেকে ব্রাইটকে খেলাব কিনা তা ঠিক করিনি। তিলক ময়দানে খেলা হবে। এই মাঠ ওদের একাধিক ফুটবলারের খুব চেনা। তবে এসব ভেবে লাভ নেই। লড়াকু ফুটবল খেলে জয় তুলে নেওয়াই এসসি ইস্ট বেঙ্গলের লক্ষ্য।’ এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটিশ কোচ জানান, ‘অঙ্কের বিচারে আমাদের এখনও প্লে- অফে যাওয়ার সুযোগ আছে। আগেই বলেছি, যত দিন যাবে এই দল ভালো খেলবে। তবে বদলাতে হবে শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার অভ্যাস।’