বয়স ৪০ পেরলেই প্রতি ছ’মাস অন্তর বিভিন্ন রোগ ও রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তা শোনেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গত পাঁচ বছরে তাঁর কোনও মেডিক্যাল টেস্ট বা চেক-আপই হয়নি! আপাতদৃষ্টিতে ‘ফিট’ মনে হওয়া মহারাজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে এমন চমকপ্রদ তথ্য জানতে পেরেছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল থেকে আগামিকাল বুধবার ছুটি পেতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চার দিন পরে ছুটি পেলেও তা সাময়িক হবে বলেই জানা গিয়েছে। হৃদ্রোগের চিকিৎসার দ্বিতীয় পর্ব সম্পূর্ণ করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই আবার হাসপাতালে ফিরতে হবে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ককে।
কী হবে সেই দ্বিতীয় পর্বে? জানা গিয়েছে, সৌরভের ডান দিকের ধমনীতে একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর বাঁ দিকের ধমনীতেও দু’টি ব্লকেজ রয়েছে। ঠিক হয়েছে, কোনও রকম ঝুঁকি না-নিয়ে আরও দু’টি স্টেন্ট বসানো হবে। সৌরভের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য, হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ সরোজ মণ্ডল বলেন, ‘‘দেশ ও বিদেশের হৃদ্রোগ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌথ ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সৌরভের অন্য দু’টি ধমনীতে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টিই করতে হবে, বাইপাস নয়। তবে সেটা কবে করা হবে, এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সুনীল বরণ রায় বলেন, ‘উনি বাংলা তথা দেশের গৌরব। কিন্তু নিজের শরীর সম্পর্কে তাঁর আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। আমরা জানতে পেরেছি, গত পাঁচ বছরে সৌরভ কোনও পরীক্ষাই করাননি।’ প্রসঙ্গত, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সৌরভের লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা হয়। তাতে দেখা যায়, মহারাজের টোটাল কোলেস্টেরলের পরিমাপ ৩০০। ট্রাইগ্লিসারাইডস ৩৭০’এর কাছাকাছি। অথচ তা নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি কোনও ওষুধ খেতেন না।