সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্র আরও বৃহৎ ও প্রসারিত করতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার গৌরবময় কর্মকাণ্ডের শুভ উদ্বোধন ও শিলান্যাস। আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত বৈদ্যুতিক চুল্লি উদ্বোধন হল আজিমগঞ্জ শ্মশান। পুরসভার সুরক্ষার জন্য ৩৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা, জল প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের শুভ উদ্বোধন ও শিলান্যাস করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা সাংসদ আবু তাহের খান। মুর্শিদাবাদের বিধায়িকা সাওনি সিংহ রায়, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজিব হোসেন, সাগারদিঘি বিধায়ক সুব্রত সাহা।
বহরমপুর সার্কিট হাউসে একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী জানান, তৃণমূলের ওপর মানুষের আস্থা আছে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে দিলীপ ঘোষ যে মন্তব্য করেছেন সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সারা রাজ্যের মানুষ উপকৃত হবেন। তিনি যেহেতু ধোঁকাবাজ, তাই ধোঁকাবাজির কথা বলেছেন।” মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসন বিজেপি পাবে বলে যে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ, সে প্রসঙ্গে মন্ত্রীর দাবি, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেয়। শুভেন্দু অধিকারীকে মানুষ ভোট দিত না। তাই এত উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই। আগামী দিনের সব উত্তর পাবে বিজেপি।
রবিবার মুর্শিদাবাদে একগুচ্ছ প্রকল্প শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ দিন তিনি নাম না করে কটাক্ষ করেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে। তিনি বলেন, “বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অনেকে আছেন। কেউ হায়দরাবাদ থেকে এসে বলছেন মুসলমান কা ভোট, আবার কেউ গুজরাট থেকে এসেছেন হিন্দু কা ভোট। আর আমরা নজরুলের ভাষায় বলি, হিন্দু না ওরা মুসলমান ওই জিজ্ঞাসে কোন জন/ কান্ডারি বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার।’ কান্ডারী মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বলছি বিচ্ছন্নতাবাদীদের দিকে নয়। যারাই বিচ্ছিন্ন করতে আসবে, তাদের কানটা ধরে বলুন না বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ দিকে নয়। বাংলার মানুষ কোন সাম্প্রদায়িকতা বিশ্বাস করে না। সে হিন্দু সাম্প্রদায় হোক বা মুসলিম সাম্প্রদায়। বাংলার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। মমতা বন্দোপাধ্যায় সঙ্গে থাকবে মানুষ।”