নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী কীভাবে উদযাপন হবে, সেই নিয়ে আলোচনার জন্য আজ নবান্ন থেকে বিদ্বজ্জনদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকেই কিছু কর্মসূচি ঘোষণা প্রসঙ্গে মমতা এদিন বলেন, “দুটো বই আমার প্রায় মুখস্থ। আমার জীবনে যে দুটো বই আমাকে সবথেকে উদ্বুদ্ধ করেছে তা হল- স্বামী বিবেকানন্দের লেখা ‘কল টু দ্য নেশন’ এবং নেতাজির লেখা ‘তরুণের স্বপ্ন।’
তারপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শীর্ষেন্দুদা (মুখোপাধ্যায়) ঠিকই বলছেন, আমরা অতীত ভুলে যাই। ঘটনা হল, নেতাজিও বলেছেন যে, আমরা অতীত বিস্মৃত জাতি। আমরা অতীত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই। কিন্তু আমাদের মধ্যেই জন্মেছে মীরজাফর ও উমিচাঁদ। তাদের বংশ আজও বাড়ছে।” এছাড়াও, মমতা বলেন, “নেতাজিই একসময় বলেছিলেন, ষোল আনা পেতে হলে ষোল আনা দিতে হবে। ডিটারমিনেশন ও ডেডিকেশন দুটোই থাকতে হবে। তাঁর তরুণের স্বপ্ন তো আমি প্রতি পদে মেনে চলি।”
তবে মুখ্যমন্ত্রী মীরজাফরের প্রসঙ্গ তুলতেই কৌতূহল বাড়ে। কারণ, ইদানীং এই শব্দের বহুল ব্যবহার শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। সৌগত রায়রা উঠতে বসতে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে এই বিশেষণ জুড়ছেন। তা ছাড়া বলছেন, যে শুভেন্দুকে অনেক কিছু দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই কি নেতাজির ‘ষোল আনা’-র কথা এদিন টেনেছেন মমতা, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। সাংবাদিক বৈঠকের শেষে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাউকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলিনি। তবে এটা নেতাজি বলেছিলেন। এখন এগুলো প্রবাদের মতো। এই যে বলা হয় না—চোরের মার বড় গলা, ব্যাপারটা সেরকম।”