কয়েকমাস আগেই উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে খনিজ তেলের সম্ভারের খোঁজ মিলেছে। এবার সেখান থেকেই অপরিশোধিত তেল উত্তোলন ও সংশ্লিষ্ট কাজকর্মের জন্য রাজ্যের কাছে জমি চাইল ওনজিসি। সম্প্রতি জমি চেয়ে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি চিঠি পাঠিয়েছে নবান্নে। সোমবার নবান্ন সভাঘর থেকে এমনই তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অশোকনগরে অপরিশোধিত তেলের খনির খোঁজ মেলার পরই রাজ্যে দ্রুত তেল উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির জবাব দিয়েছে ওএনজিসি। তেল উৎপাদন কেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর জন্য ৪০ একর জমি চেয়েছে তারা। অশোকনগর ও ব্যারাকপুর অঞ্চলে জমি চাওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে টাকা দেওয়ার কথাও জানিয়েছিল সংস্থাটি। তবে বিনামূল্যেই তাঁদের জমি দেওয়া হবে বলে এদিন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশা, এই কেন্দ্রের হাত ধরে রাজ্যে শিল্প আসবে। হবে কর্মসংস্থানও।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অশোকনগরে তেল উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠলে বাংলায় শিল্প হবে। গড়ে উঠবে অনুসারী শিল্প। হলদিয়ায় তেল সংশোধনাগার রয়েছে। দুইয়ের সংযোগে বাংলায় উন্নত শিল্প গড়ে ওঠা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।” জমি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওএনজিসিকে যে জমি দেওয়া হবে, সেখানে কিছু মানুষ বসবাস করেন। তাঁদের পুনর্বাসন ও পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার জন্যও কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছি।” মুখ্যমন্ত্রীর আশা, ভবিষ্যতে দেশের মধ্যে বাংলা এনার্জি হাব হয়ে উঠবে। এখান থেকে বিদেশে তেল, কয়লা রপ্তানি করা হবে।
এ কথা ঘোষণা করতে গিয়ে এদিন বিরোধীদেরও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “অনেকেই বলেন বাংলায় শিল্প নেই, শুধু গল্প আছে। তাঁদের বলি, শিল্প করতে সময় লাগে। একদিনে হয় না। দেখুন আজ শিল্প হচ্ছে।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি দীঘায় বিপুল টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে জিও। জমি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে উইপ্রো। সিলিকন ভ্যালিতেও বিনিয়োগ হয়েছে। এমনকী, সিঙ্গুরের জমিতেও অ্যাগ্রো ইন্ডাস্টির হওয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা। এর ফলে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করছেন তিনি।