কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে এখনও অব্যাহত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। আন্দোলনের আঁচ ফিকে হয়নি একটুও। নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় কৃষকেরা। কেন্দ্রের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও মেলেনি সমাধানসূত্র। কৃষকদের আইন প্রত্যাহারের দাবি মানতে নারাজ সরকার। প্রয়োজনে সংশোধনী আনার কথা ভাবলেও পুরোপুরি আইন বাতিল সম্ভব নয়, জানিয়েছে কেন্দ্র। কাজেই তীব্রতর হয়েছে প্রতিবাদ। দিল্লী-হরিয়ানা সীমান্তে প্রবল শীতের প্রকোপে মৃত্যুও হয়েছে অনেক আন্দোলনরত কৃষকের।
এবার কৃষক-মৃত্যু প্রসঙ্গ নিয়েই সরকারকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিল কৃষক সংগঠনগুলি।সরকারের সঙ্গে অষ্টম রাউন্ডের বৈঠকের আগেই সুর চড়ালেন কৃষকেরা। এখনও পর্যন্ত আন্দোলন চলাকালীন ৬০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ তিকাইত। বললেন, “প্রতি ১৬ ঘণ্টায় একজন কৃষকের মৃত্যু হচ্ছে। এর দায় নিতে হবে সরকারকেই।” প্রসঙ্গত, পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী মৃত কৃষকদের মধ্যে রয়েছেন তিকরি সীমান্তের দশ জন ও সিঙ্ঘু সীমান্তে নয় জন। এঁদের মধ্যে আছেন শিখ সাধু বাবা রাম সিংহও।
সোমবার দুপুরে ফের সরকারের সঙ্গে আরেক রাউন্ড বৈঠকে বসেছেন চাষীরা। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমার বলেছেন, সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এদিন। গত কয়েকদিন ধরে দিল্লীতে বৃষ্টি পড়ছে। সঙ্গে তীব্র শীত। তারমধ্যে সিঙ্ঘু সীমান্ত সহ বেশ কিছু স্থানে প্রতিবাদ অবস্থান চলছে চাষীদের। কৃষকদের দাবি, নয়া আইনে মান্ডি ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও বেসরকারি সংস্থা এসে চাষীদের থেকে অনেক কম দামে ফসল কিনে চলে যাবে। ফলত বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন কৃষকেরা। কাছেই তাঁদের জানিয়েছে, নয়া চাষী আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে।