বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। জমি নিয়ে নানা জটিলতার মাঝে এবার পিয়ারসন হাসপাতালে আর্থিক কেলেঙ্কারি। এখানে ওষুধে গরমিলের অঙ্ক ২০ লক্ষ টাকারও বেশি। ক্যাগ রিপোর্টে এই গরমিলের তথ্য সামনে আসতেই পাঁচ জন ফার্মাসিস্টকে শোকজ করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে তাদের শোকজের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব একটি হাসপাতাল রয়েছে – পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এই হাসপাতালে মূলত বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক, আধিকারিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এবং ছাত্রছাত্রীরা চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকে। ইন্ডোরের পাশাপাশি আউটডোরে চিকিৎসা করানোর সুবিধাও রয়েছে। বিশ্বভারতীর একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালে ওষুধ নিয়ে বেআইনি কারবার চলছে। ওষুধ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে সম্প্রতি ক্যাগ তদন্ত শুরু করে। আর তাতেই যাবতীয় কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে।
পিয়ারসন হাসপাতাল নিয়ে ক্যাগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত চার বছর ধরে ওষুধের এই দুর্নীতি চলছে। মূলত অ্যাজিথ্রোমাইসিন এবং সেফিক্সিন ট্যাবলেট নিয়ে ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে এখানে। সূত্রের খবর, ২ লক্ষেরও বেশি ট্যাবলেট স্টোর থেকে ইস্যু হয়ে কাউন্টারে আসে রোগীদের দেওয়ার জন্য। নিয়ম অনুসারে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুসারে কাউন্টারে যাঁরা থাকেন, তাঁরাই ওষুধ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ দেওয়া হয়েছে। গত চার বছরে যে পরিমাণ ট্যাবলেট ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেওয়া হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ২০ লক্ষ টাকারও বেশি। এদিকে এই বিষয়টি সামনে আসতেই পাঁচজন ফার্মাসিস্টকে শোকজ করেন পিয়ারসন হাসপাতালের সিএমও অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়।