সম্প্রতিই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে সরকারি ভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ভিজি সোমানি৷ রবিবার এই ঘোষণার সঙ্গেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে দেশবাসী। এপ্রসঙ্গে সোমানি জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকা ও সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ডের পাশাপাশি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ব্যবহারও সম্পূর্ণ নিরাপদ৷ এদিন এইএমসের ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া বলছেন আপাতত কোভ্যাকসিনকে ব্যাক-আপ হিসেবেই থাকছে৷ শুরুতে কোভিশিল্ড ব্যবহার করা হবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে গুলেরিয়া বলছেন, “আমাদের দেশের জন্য এটা দারুণ দিন৷ নতুন বছরের শুরুটাও খুব ভাল ভাবে হল৷ দু’টো করোনা টিকাই ভারতের তৈরি৷ এগুলো সাশ্রয়ী এবং সহজেই প্রয়োগ করা যাবে৷ আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো চালু করে দেওয়া উচিত৷ ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিনকে আপাতত ব্যাক-আপ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ আচমকা করোনার সংক্রমণ বাড়লে জরুর ভিত্তিতে আমরা টিকাকরণ করতে পারব৷ তখন কোভ্যাকসিন ব্যবহার করা যেতে পারে৷ যতক্ষণ না আমরা সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডকে সুনিশ্চিত ভাবে ফলপ্রদ বলতে পারছি, ততক্ষণ কোভ্যাকসিন ব্যাক-আপে থাক৷ করোনা টিকার অনুমোদনে পরিস্কার বলে দেওয়া হয়েছে যে, আপদকালীন স্থিতিতে ও একই সঙ্গে করোনা স্ট্রেইন ভেদে এর ব্যবহার হবে৷ ধারাবাহিক ভাবে ট্রায়াল চলবে৷ আমরা তথ্য পেতে থাকব৷ একবার তথ্য পেয়ে গেলে আমরা নিরাপত্তা ও কার্যক্ষম নিয়ে নিশ্চিত হতে পারব৷”
টিকাকরণ প্রসঙ্গে গুলেরিয়া আরও জানিয়েছেন যে, কোভিশিল্ড আগে ব্যবহার হবে৷ পরে আসবে কোভ্যাকসিন৷ “শুরুতে সিরাম ইনস্টিটিউটের টিকা দেওয়া হবে৷ ৫০ মিলিয়ন ডোজ উপলব্ধ৷ তারা শুরুতে তিন কোটি মানুষ টিকা দেবে৷ পরে সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকবে৷” জানিয়েছেন গুলেরিয়া।