কেন্দ্রের সঙ্গে রাজধানী সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের ইতিমধ্যেই একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তবু এখনও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। যার ফলে কৃষকরাও নিজেদের দাবিতে অনড়। এমতাবস্থায় কেন্দ্রের এই অনমনীয় মনোভাবকে এবার ব্রিটিশদের সঙ্গে তুলনা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আর সেই সঙ্গে আন্দোলনরত কৃষকদের ‘সত্যাগ্রহী’ আখ্যা দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রায় ৪০ দিন ধরে দিল্লীর বিভিন্ন সীমানায় কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন লক্ষ লক্ষ কৃষক।
১৯১৭ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে বিহারের চম্পারণে গান্ধীজির নেতৃত্বে সংগঠিত হওয়া সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সঙ্গে এই কৃষি আন্দোলনের তুলনা টানেন তিনি। বলেন, যেভাবে সেই সময় গান্ধীজির নেতৃত্বে সত্যাগ্রহীরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছ থেকে তাঁদের দাবি আদায় করে নিয়েছিলেন, ঠিক তেমনভাবেই আন্দোলনরত কৃষকরাও সরকারের কাছ থেকে নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নেবেন। অর্থাৎ নির্মম ব্রিটিশদের সঙ্গেই মোদী সরকারের তুলনা টেনে ফের রাহুল গান্ধী বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, দেশে ‘গণতন্ত্র’ নেই।
কেন্দ্রের এই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব রয়েছে কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, এই আইন কার্যকর হলে একদিকে যেমন ভারতের মতো এক কৃষি প্রধান দেশে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনই চাষিরাও পড়বেন মহা বিপদে। মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে আসা কৃষকরা এই আন্দোলনে একটি বড় ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কৃষকরা। দিল্লীর সীমানায়, কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে আন্দোলন করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কৃষকের মৃত্যুও হয়েছে। তবু নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা।