বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে এবার নারীবিদ্বেষী রাজনীতির অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
বোলপুর সফরে আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে সেখানকার দোকানে ঢুকে অবলীলায় আলু-বরবটির তরকারি রান্নায় হাত লাগিয়েছিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা। তা দেখে ব্যঙ্গ করে টুইট করেন বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। লেখেন, যে কাজ ৫ মাস পর করতে হবে, তা এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছেন দিদি।’
এমন ন্যাক্কারজনক মন্তব্য নারী বিদ্বেষী বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তোপ দেগেছেন তৃণমূল নেত্রীরাও। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার পাল্টা টুইটে লিখেছেন, যদি আপনি মহিলা হন আর রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা রাখেন, তবে মনে রাখবেন, বিজেপি নেতাদের মতো নারী বিদ্বেষী মানুষে ভর্তি আমাদের দেশ। তারা মেয়েদের শুধু রান্নাঘরেই আটকে রাখতে চায়।’ এখানেই না থেমে কৈলাসকে কটাক্ষ করে কাকলি আরও লিখেছেন, ‘না জানি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়ির মেয়েদের কতই না সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।’
বাংলায় একটি চালু প্রবাদ আছে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো এই প্রবাদের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। বরাবর কালীঘাটের বাড়িতে মমতা নিজে শ্যামা পুজোর ভগ রান্না করেন। শুধু তাই নয়, নিজে হাতে অতিথিদের খাবার পরিবেশন করতেও দেখা যায় তাঁকে। ২০১৯ লোকসভা ভোটের সময় দীঘার একটি দোকানে ঢুকে নিজে হাতে চা করে খাইয়েছিলেন সবাইকে। এই সহজ-সরল জীবন যাপনই মমতার ইউএসপি। এবার সেটাকেই আক্রমণ করে তোপের মুখে পড়লেন কৈলাস।