একদিকে যখন কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনকে কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী বলে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লী সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ৪০টি কৃষক সংগঠন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের আগমনে ক্রমশই ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের। তখন এক কৃষকের ‘সুইসাইড নোটে’ আরও অস্বস্তি বাড়ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সময় মতো বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় ক্রমাগত কোম্পানির হেনস্থার শিকার হয়ে শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ছতরপুরের কৃষক মুনেন্দ্র রাজপুত। আত্মহত্যা করার আগে মোদীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে গেছেন বছর পয়ত্রিশের ওই কৃষক। তাতে লেখা, ‘আমার শরীর বেচে ধার মিটিয়ে দিন।’
পরিবারের অভিযোগ, অতিমারী সঙ্কট এবং ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ৮৭ হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারেননি মুনেন্দ্র। তারপরই নোটিস পাঠিয়ে তাঁর গমের কারখানা আর মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করেছে ওই বিদ্যুৎ সংস্থা। মুনেন্দ্র চিঠিতে লিখেছেন, ‘বড় বড় রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারিরা দুর্নীতি করলে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না। তাঁরা ঋণ নিলে তা পরিশোধের জন্য অঢেল সময় দেওয়া হয়। কিন্তু একজন গরিব মানুষ সেই সব সুবিধে পান না। সরকার এসে জিজ্ঞেসও করে না, কেন তাঁর ধার মেটাতে দেরি হচ্ছে! পরিবর্তে তাঁকে অপমান, হেনস্থার শিকার হতে হয়।’