অবশেষে স্বস্তি ফিরল ক্যাঙারু শিবিরে। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচিত দলে ফিরলেন ডেভিড ওয়ার্নার। চোটের জন্য প্রথম দুটি টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে চলতি সিরিজে সেভাবে সুবিধাও করতে পারেনি অজিরা। কাজেই চাপে ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। গত মঙ্গলবারই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সুখবর এল অজি ব্রিগেডের অন্দরে।
সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে ১৮ জনের দলে ফিরতে চলেছেন দুই ব্যাটসম্যান, ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং উইল পুকভস্কি। বাদ পড়ছেন ওপেনার জো বার্নস। মেলবোর্নে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। কুঁচকির চোটের কারণে প্রথম দুই টেস্টে দলে ছিলেন না ওয়ার্নার। অন্য দিকে পুকভস্কি টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে মাথায় বলের আঘাত পেয়ে দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন। এবার চোট সারিয়ে ফিরছেন এই ব্যাটসম্যান।
প্রসঙ্গত, বুধবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক ট্রেভর হনস জানান, ‘‘জাতীয় টেস্ট দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে জো বার্নসকে। ও ব্রিসবেন হিটের হয়ে খেলবে।’’ পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন ওয়ার্নার। ৭ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্টে ওর খেলার বিষয়টিও ক্রমে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। ট্রেভর আরও বলেন, ‘‘সুস্থ হয়ে উঠেছে পুকভস্কিও। এই মুহূর্তে অসুস্থতার কোনও লক্ষণ নেই। তবে সুরক্ষা বিধি মেনে শারীরিক পরীক্ষার পরেই বলা যাবে পুকভস্কি খেলতে পারবে কি না।’’ কাফ মাসলে চোট ছিল অলরাউন্ডার শন অ্যাবটের। চোট-সমস্যা কাটিয়ে ১৮ জনের দলে ফিরেছেন তিনিও।
যদিও সিডনিতে করোনার সংক্রমণ বেশি থাকায় এখনই সেখানে গিয়ে হাজির হচ্ছে না ভারত বা অস্ট্রেলিয়া কোনও দলই। আপাতত মেলবোর্নে থেকেই অনুশীলন চালিয়ে যাবে দুই দল। তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার তিন দিন আগে নতুন বছরের ৪ জানুয়ারি সিডনিতে গিয়ে পৌঁছবে দুই দল। প্রথা অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম দিনেই সিডনিতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দলের পা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে অবধিও জল্পনা চলছিল, মেলবোর্নেই তৃতীয় টেস্ট হতে পারে। কিন্তু কি মঙ্গলবার সেই জল্পনায় ইতি পড়েছে। সিডনিতেই হবে তৃতীয় টেস্ট। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দুই দলের সদস্য ছাড়াও, সম্প্রচার কর্মীরা যাতে তৃতীয় টেস্টের পরে নিরাপদে ব্রিসবেন যেতে পারেন, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্য আধিকারিক নিক হকলি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটার ও সম্প্রচারকর্মীরা সুস্থ ভাবে যাতে ব্রিসবেনে পৌঁছোতে পারেন, তার জন্য নিরাপদ জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। টেস্ট ম্যাচ আয়োজন এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব।’’ মঙ্গলবার রাতেই সিডনিতেই তৃতীয় টেস্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন নিরাপত্তার টেস্ট ম্যাচ শেষ করাই মূল লক্ষ্য। তার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চলেছে। ক্রিকেটারেরা আপাতত মেলবোর্নে থেকেই অনুশীলন চালিয়ে যাবেন। তার পরে সিডনি টেস্টের কয়েক দিন আগে সেখানে পৌঁছোবেন তাঁরা, জানিয়েছেন হকলি।