করোনা সংক্রমণ এবং তা রুখতে জারি হওয়া দেশজোড়া লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছিলেন দেশের বহু মানুষ। বিগত দশমাসের সময়ের সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি আজও জ্বলন্ত প্রত্যেক নাগরিকের মনেই। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার পরিসংখ্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন মন্ত্রক (এমএসপিআই) কর্তৃক প্রকাশিত ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি সমীক্ষার রিপোর্টে (পিএলএফএস) স্পষ্ট যে ভারতে কোভিডের প্রবেশের আগেই বেকারত্ব ছিল চরমে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-এর প্রথম ত্রৈমাসিকেই মফস্বল ও শহরতলির বেকারত্বের হার পৌঁছায় ৯.১ শতাংশে, যা দেখে স্বভাবতই চোখ কপালে উঠেছে বিশেষজ্ঞদের।
পিএলএফএস-র রিপোর্টে স্পষ্ট, শহরতলি-সহ মফস্বলে ২০১৯-এর অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৯ শতাংশ, কিন্তু ২০২০-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯.১ শতাংশ! যদিও ২০১৯-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার ছিল ৯.৩ শতাংশ। অপরদিকে ২০১৮-এর অক্টোবর-ডিসেম্বরের বেকারত্বের হার সবকিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছিল। ওই তিনমাসে বেকারত্বের হার পৌঁছেছিল ৯.৯ শতাংশে। কেন্দ্রীয় শ্রম দফতরের সূত্রে জানা গেছে, ১৫-২৯ বছর বয়সী নাগরিকদের বেকারত্বের হার ২০২০-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে ছিল ২১.১ শতাংশ। যদিও ২০১৯-এর শেষ ত্রৈমাসিকে ওই হার ছিল ১৯.২ শতাংশ।
অন্যদিকে গত বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে নারীদের বেকারত্বের হার ছিল ১০.৫ শতাংশ। একইসময়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ছিল শতকরা ৮.৭। পিএলএফএস অনুসারে, গত ত্রৈমাসিকে শ্রমশক্তি ছিল প্রায় ৩৭.২ শতাংশের কাছাকাছি, যা যথেষ্ট বেশি। অন্যদিকে এমএসপিআইয়ের সূত্রে খবর, ২০২০-এর প্রথম ত্রৈমাসিকের জন্য ১.৭৩ লক্ষ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। তাছাড়াও সমীক্ষার নমুনার আওতায় আনা হয় ৪৩,৯৭১ গৃহস্থালি। যদিও অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে ১.৭৯ লক্ষ নাগরিক ও ৪৫,৫৫৫ গৃহস্থের উপর সমীক্ষা চলে বলে জানা যাচ্ছে।