পুরো পৃথিবীজুড়েই শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধকের জন্য চাতক-অপেক্ষা। বিভিন্ন মেডিক্যাল কোম্পানি হাত লাগিয়েছে টিকা তৈরির কাজে। করোনা ভ্যাকসিন তৈরির এই দৌড়ে এবার প্রথম সফল হন চীন। বৃহস্পতিবারই জনগণের মধ্যে বিতরণের জন্য সিনোফার্মের তৈরি টিকায় ছাড়পত্র দিয়েছে বেজিং।
প্রসঙ্গত, শীতের মরসুমে ফের করোনা প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলেই আগেই আভাস দিয়েছিলেন চীনা বিশেষজ্ঞরা। তাই মহামারীর তৃতীয় ঢেউ সামলাতে রীতিমতো সতর্ক প্রশাসন। এমতাবস্থায় দেশের জনতাকে স্বস্তি দিয়ে বর্ষবরণের উপহার হিসেবে করোনা টিকায় ছাড়পত্র দিল শি জিনপিং প্রশাসন। তবে এই বিষয় নিয়ে উঠে এসেছে প্রশ্নচিহ্ন। যেহেতু সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থাটির তৈরি টিকার ট্রায়াল ও ফলাফল সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি চীন, কাজেই প্রতিষেধকটি কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে প্রতিষেধকটির প্রস্তুতকারী সিনোফার্মের শাখা সংস্থা China National Biotec Group (CNBG)-এর দাবি টীকাটি ৭৯.৩৪ শতাংশ কাজ করে। এর ফলে ভবিষ্যতে করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক অনেকটাই কমে যাবে। জানা গিয়েছে, টিকার দুই ডোজের দাম ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১০ হাজার টাকা হতে পারে। তবে এর সঠিক মূল্য কত, তা প্রকাশ করা হয়নি এখনও।
শেষ ক’মাস ধরে অতিমারীর জন্য ত্রাসের কবলে বিশ্ববাসী। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশ। ফলে শুরু হয়েছে টিকা তৈরির ইঁদুর দৌড়। বিশ্বের প্রথম টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ তৈরি করেছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কন্যাও সেই টিকা নিয়েছেন। এদিকে ফাইজারের টিকাও ছাড়পত্র পেয়েছে। আশার আলো ছড়িয়ে ব্রিটেনে (UK) ছাড়পত্র পেয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার (Oxford-AstraZeneca) প্রতিষেধক। এটি দ্বিতীয় সম্ভাব্য করোনা টিকা হিসেবে ব্রিটেনে ছাড়পত্র পেয়েছে। ৪ঠা জানুয়ারি থেকে এই প্রতিষেধকে ব্যবহার শুরু হবে সে দেশে। সূত্রের খবর, দ্রুত ভারতেও এই প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূ্ত্রে খবর, ভারতে এই টিকার প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটকে ছাড়পত্র দিতে ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়ার সাবজেক্ট এক্সপার্ট গ্রুপ বৈঠকে বসছেন শীঘ্রই।