কৃষি আইনের বিরোধিতায় অন্নদাতাদের আন্দোলন বৃহস্পতিবার ৩৬ দিনে পড়ল। বুধবারই কেন্দ্রের সঙ্গে ষষ্ঠবার বৈঠকে বসেছিলেন কৃষক প্রতিনিধিরা। সেখানে কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন-সহ চারটি বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব রাখা হয়। তবে কৃষি আইন নিয়ে এদিন কোনও কথাই বলেননি কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমাররা। বদলে কৃষকদের অন্য দু’টি প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলে বাকি কোনও কিছুতেই তাঁদের গলানো যাবে না।
এর আগেই কৃষকরা জানিয়েছিলেন, বিদ্যুৎ আইন সংস্কারের কারণে তাঁদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। বুধবারের আলোচনায় কেন্দ্র জানিয়েছে, রাজ্যের তরফে ভর্তুকি সংক্রান্ত যে সহায়তা মেলে তা কৃষকরা পাবেন। অন্যদিকে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো নিয়ে যে জরিমানার কথা বলা হয়েছিল, কৃষকদের সেই জরিমানা দিতে হবে না বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। কৃষক নেতা কলবন্ত সিং সাধু জানিয়েছেন, আগামী ৪ জানুয়ারি ফের কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বসবে সরকার। সেখানেই এমএসপি ও তিন কৃষি আইন নিয়ে কথা হবে।
কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় এক মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লীতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি, আইন প্রত্যাহার করতে হবে। কনকনে ঠান্ডায় ডিসেম্বরের দিল্লীতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সরকার কোনওভাবেই এই কৃষক আইন প্রত্যাহারের পক্ষে নয়। তাই ‘সুকৌশলে’ বুধবারও আলোচনা এড়িয়ে গিয়েছে তারা। এ নিয়ে সিংঘু সীমানায় অবস্থানকারী কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সুখবিন্দর সিং বলেন, ‘সরকার উচিৎ ছিল ষষ্ঠ বৈঠকে এমএসপি, কৃষি আইন নিয়ে কথা বলা।’ কৃষক প্রতিনিধিদের দাবি, তাঁদের না বুঝিয়ে আইন প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র।