একেই বলে শেয়ানে-শেয়ানে টক্কর। এক-দুই নয়, গোটা ম্যাচে অজস্র গোলের সুযোগ তৈরি করল দুই দলই। এটিকে মোহনবাগান আর চেন্নাইয়িনকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন দীর্ঘদিন গোলের খরার মধ্যে রয়েছে তাঁরা। গোলের খিদে চূড়ান্ত। তিনটে পয়েন্ট চাই-ই-চাই। কিন্তু নাছোড়বান্দা রক্ষণভাগও। ডিফেন্ডাররাও যেন পণ করেছেন, গোল হজম করবেন না। আর দুই পক্ষের এই নাছোড় মনোভাবেই শেষমেশ পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছাড়ল দুই দল।
মাত্র তিন দিনের ব্যবধানেই মাঠে নামতে হচ্ছে চেন্নাইয়িনকে। সেদিক থেকে অনেকটাই বিশ্রাম ও অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন হাবাসের ছেলেরা। তাছাড়া চলতি টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে রয়েছেন তাঁরা। তাছাড়া পয়েন্ট টেবিলেও এগিয়ে তাঁরাই। তাই এদিন ম্যাচ শুরুর আগে এটিকে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু মাঠে চেন্নাইয়িনকে দেখে তেমনটা বোঝার উপায় ছিল না। জয়ের খিদেই ভাল পারফরম্যান্সের রসদ তাঁদের। যদিও এক পয়েন্টেই সন্তষ্ট থাকতে হল দুই দলকেই।
প্রত্যাশা আগেই ছিল যে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামবেন হাবাস। সেই মতোই রয় কৃষ্ণ, উইলিয়ামস আর মনবীরকে দিয়ে ফরোয়ার্ড লাইন সাজিয়েছিলেন। ফলে শুরু থেকেই আক্রমণ শানায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে উলটোদিক থেকেও ধেয়ে আসে আক্রমণ। একদিকে রয় কৃষ্ণ আর অন্যদিকে জাকুবরা যদি গোলের সুযোগ হাতছাড়া না করতেন, তাহলে এদিন বেশ কয়েকটি ভাল গোল দেখার সুযোগ পেতেন দর্শকরা। তবে শুধু রক্ষণই নয়, এদিন দুর্দান্ত একটি গোল সেভ করে এটিকে মোহনবাগানকে হারের হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার অরিন্দম। দলের ত্রাতা হয়ে ওঠা অরিন্দমই এদিন ম্যাচ সেরার শিরোপা পান। তবে বাগান ভক্তদের আক্ষেপ, বছর শেষে একটা জয় উপহার পেলেন না।