গতকাল অরুণাচলের ৬ জন জেডিইউ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিহারের রাজ্য রাজনীতিতে। নীতিশের দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কেসি ত্যাগী এই ঘটনার প্রভাব বিহারে পড়বে না বলে দাবি করলেও বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই দেখা যাচ্ছে। এবার ১৭ জন জেডিইউ বিধায়ক আরজেডি দলে যোগ দেওয়ার জন্য তদ্বির করছে। খুব তাড়াতাড়ি এই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পাবে।
বুধবার এইপ্রসঙ্গে আরজেডি নেতা শ্যাম রজক বলেন, “জেডিইউতে কাজ করার সুযোগ নেই বুঝতে পেরেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ছেড়ে আরজেডিতে যোগ দিয়েছিলাম। এখন নির্বাচনের পরে জেডিইউর অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি দেখে ১৭ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু, আমরা দলত্যাগ বিরোধী আইন ভেঙে কোনও কাজ করতে চাই না বলে এখন তাঁদের যোগ দিতে বারণ করেছি। ২৮ জন বিধায়ক একসঙ্গে দল ছাড়লে কোনও সমস্যা হবে না। তাই আরও ১১ জন বিধায়ক হওয়ার পরেই সবাইকে একসঙ্গে আমাদের দল নিয়ে আসা হবে। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি সেই সংখ্যা জোগাড় হয়ে যাবে।”
অরুণাচলে জেডিইউ বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই বিহারে রাজনৈতিক ডামাডোল তৈরির সুযোগ পেয়েছে আরজেডি। তাই অরুণাচলে যেমন আইন মেনে সাত জন জেডিইউ বিধায়কের মধ্যে ৬ জনকে দলে নিয়েছে বিজেপি, তেমনি বিহারেও নীতিশের ২৮ জন বিধায়ককে একসঙ্গে নিজেদের দলে নিতে চাইছে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি। যদি আরজেডি নেতা শ্যাম রজকের দাবি সত্যি হয় তাহলে বিহারের জেডিইউ-বিজেপি জোট সরকার সমস্যায় পড়বেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।