আজ চলতি বছরে শেষবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে দিল্লীর প্রতিবাদী কৃষকরা জানিয়েছিলেন, কৃষি আইন বাতিল এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিশ্চিত করলে তবেই আলোচনায় বসবেন তাঁরা। কৃষি-সমবায় ও কৃষক কল্যাণ বিভাগের সচিব সঞ্জয় আগরওয়ালকে লেখা চিঠিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা-সহ ৪০টি কৃষক সংগঠন একথা জানিয়েছে। বেশ কিছু দাবিদাওয়ার মধ্যে মূল চাহিদা হল কৃষি আইন বাতিল করা। আর সরকার সেটা না করলে আলোচনায় বসার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দিয়েছিল কৃষকরা।
তবে এতকিছুর পরেই বহু আলোচিত সপ্তম দফার এই বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার দিল্লীর বিজ্ঞানভবনে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক ছিল। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার আলাপ-আলোচনাতেও কোন সমাধান সূত্র মিলল না। কৃষকদের দাবি ছিল ৩ নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। তা এক কথায় নাকচ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এর ফলে কৃষি বিল নিয়ে কী ফের আলোচনার অবকাশ রইল? বিশ্লেষকদের মতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্র সরকার এই মুহূর্তে হ্যাঁ বা না কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়। ফের হয়তো বৈঠক ডাকা হতে পারে।
উল্লেখ্য, এদিন প্রায় ৫০ টি কৃষক সংগঠন কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দিয়েছিল। কৃষকদের দাবি ছিল যেভাবেই হোক সরকারকে আইন প্রত্যাহার করতে হবে। শুধু সংশোধনে তাঁরা রাজি নন। কেন্দ্র সরকার এই প্রস্তাব মেনে নেয়নি। অন্যদিকে আন্না হাজারেও ইতিমধ্যেই জানিয়ে রেখেছেন যে কৃষক-কেন্দ্র বৈঠক ব্যর্থ হলে তিনি আগামী জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশনে বসবেন। এরপর এই কৃষক আন্দোলনের মোড় কোনদিকে ঘোরে, সেদিকেই নজর গোটা দেশবাসীর।