কৃষি আইন নিয়ে বর্তমানে গোটা দেশেই প্রবল চাপে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কৃষক বিক্ষোভে উত্তপ্ত গোটা দিল্লী। এবার এই আন্দোলনের প্রতিফলন পড়ল হরিয়ানার পুরভোটেও। সেই রাজ্যের তিন পুর নিগম সহ একাধিক পুরসভার ভোটে বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি ও দুষ্মন্ত চৌতালার জেজেপি। তবে কংগ্রেসের ফলাফলও তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। বরং নির্দল প্রার্থীরা চমকপ্রদ ফল করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, “জেজেপির সঙ্গে জোট গড়ে জাঠ অধ্যুষিত হরিয়ানার ক্ষমতা দখলে রাখতে সক্ষম হলেও সাধারণ মানুষের আশাপূরণে বিজেপি সরকার যে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, শহুরে ভোটারদের রায়ে তারই প্রতিফলন দেখা গেছে।”
পুরভোটে বাজিমাত করতে উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালার দল জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) সঙ্গে জোট গড়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। গত সপ্তাহেই আম্বালাতে ভোটপ্রচারে গিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার। কালোপতাকা দেখার পাশাপাশি ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও শুনতে হয়েছিল তাঁকে। এমনকী কনভয় ঘুরিয়ে নিতেও বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। আজ সকালে পুরভোটের গণনা শুরু হতেই লক্ষ্য করা যায়, মেয়র পদে পিছিয়ে পড়ছেন বিজেপি প্রার্থী বন্দনা শর্মা। শেষ পর্যন্ত হারের স্বাদ পেতে হয়েছে তাঁকে। মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বিনোদ শর্মার স্ত্রী ও জনচেতনা পার্টির প্রার্থী শক্তিরানী শর্মা।
অন্যদিকে, সোনিপতে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী নিখিল মদন। উল্লেখ্য দিল্লীর উপকণ্ঠে যেই সিঙ্ঘু সীমান্তে গত ৩৩ দিন ধরে কৃষকরা ধর্নায় বসেছেন, সেই এলাকা সোনিপতেরই অন্তর্গত। সেখানকার কংগ্রেস প্রার্থী ১৩ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। ওকলানা পুর ভোটের চেয়ারম্যান পদে বিজেপি প্রার্থী মহেন্দ্র সোনিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী সুশীল সাহু। ধারুহেড়া পুরসভায় দুষ্মন্ত চৌতালার দলের প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী কানওয়ার সিং। সাম্পলা পুরসভার চেয়ারম্যান পদেও বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী।