গতকাল ছিল রাজনৈতিক কর্মসূচি। প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে রোড শো করেছেন। আর আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই চলে গেলেন সোনাঝুড়ি লাগোয়া আদিবাসী গ্রাম বল্লভপুরে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের খোঁজ খবর নিলেন। সঙ্গে গ্রামের এক দোকানে ঢুকে কড়ায় হওয়া আলু-বরবরবটির তরকারি রান্নাতেও খুন্তি নাড়লেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নিজের অভাবের কথা শোনালেন আদিবাসী মহিলা সোনামণি সোরেন। বললেন, ‘দিদিগো গ্রামে একখানাও কলঘর নাই গো। বার বার বলেও হয় নাই কিছু। সকাল সন্ধ্যায় মাঠেঘাটেই যেতে হয় সবাইকে।’ ডিএম-কে সঙ্গে সঙ্গে সোনামণির সামনেই নির্দেশ দিলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যেন গ্রামের ১২৫জন বাসিন্দার জন্য শৌচালয় নির্মাণের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে যেন গ্রামের লোকেরা তা ব্যবহার করতে পারে। আর ১ বছরের মধ্যে প্রত্যেকের বাড়িতে যেন শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়। বল্লভপুরডাঙ্গার সোনামণির মুখে তখন এক চিলতে হাসি।
কয়েকজন গ্রামবাসী রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রধানকে বলেন তাঁদের গ্রামে একটিই পুকুর। সেখানেই সব কাজ করতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে সুরাহা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসককে ডেকে সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজও দ্রুত করতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই হাঁটতে হাঁটতে মমমতা পৌঁছে যান রাস্তার পাশের একটি হোটেলে। গরম কড়াইয়ে তখন আলু-বরবটির তরকারি রান্না হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই কিছুয়া হকচকিয়ে যান দোকানি। মুখ্যমন্ত্রী কড়াতে রাখা খুন্তি হাতে তুলে নেন। দোকারিকে জিজ্ঞাসা করেন তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে কিনা। জবাবে ‘এখনও করিনি’ শুনেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের বিষয়টি দেখভালের কথা জানান।