পোর্টেবল টাচ ফ্রি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। হ্যাঁ, সত্যি করে দেখিয়েছে হুগলী কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাস। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভালে আবার সেরার মুকুট উঠল তাঁরই মাথায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানীদের পিছনে ফেলে এই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের জন্য প্রথম স্থান অধিকার করলেন অভিজ্ঞান। ছেলের কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবারও।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার আয়োজিত ‘নব ভারত নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত হয় ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভাল। এই ফেস্টিভালে অংশগ্রহণে বয়সের কোনও সীমা নেই। যে কেউ নিজের বিজ্ঞানভিত্তিক মডেল প্রদর্শন করতে পারে। হুগলী কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞান চলতি বছরে ‘নেচার বেসড সলিউশন রিসোর্স এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড সারকুলার ইকোনমি’ বিভাগে অংশগ্রহণ করে। তার তৈরি করা পোর্টেবল টাচ ফ্রি হ্যান্ড স্যানিটাইজার (ম্যানুয়াল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক) সকল প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে দিয়ে জিতে নেয় সেরার পুরস্কার। অভিজ্ঞানের বানানো এই পোর্টেবল এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার শরীরের সঙ্গেই ঝোলানো থাকবে। আর এক হাতে থাকবে সেন্সর লাগানো ঘড়ি, অন্য হাতে লাগানো থাকবে চুম্বক। যে হাতে ঘড়ি সেই হাতেই রয়েছে একটি সিলিকন টিউব। যার সঙ্গে স্যানিটাইজারের সরাসরি যোগ রয়েছে। এরপর ম্যাগনেট যে হাতে লাগানো রয়েছে সেই হাতটি সেনসর লাগানো ঘড়ির কাছে নিয়ে গেলেই হাতে সরাসরি এসে পড়বে স্যানিটাইজার। সেখানে কোনওভাবেই কোনও কিছু স্পর্শ না করেই এই স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যাবে।
এই প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন দেশের ছ’জন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী। গত বছর এই প্রতিযোগিতায় দিল্লীতে দূষণের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় দূষণ সৃষ্টিকারী যান নিয়ন্ত্রণে একটি যন্ত্র বানিয়ে বিচারকদের নজর কেড়েছিলেন অভিজ্ঞান। এবার কোভিড পরিস্থিতিতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। অভিজ্ঞান যে টাচ ফ্রি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়েছেন, তার দামও অত্যন্ত কম। মূলত স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের কাজের সুবিধার কথা চিন্তা করতেই তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বিচারকেরা।
