দিনের বেলায় রাস্তায় পিটিয়ে মারা হল এক ব্যক্তিকে। বাঁচাতে এগিয়ে এল না কেউ। ঘটনাটি ঘটেছে যোগী রাজ্যের গাজিয়াবাদে। ব্যস্ত রাস্তায় দুই অভিযুক্ত যখন লাঠি দিয়ে ওই ব্যক্তিকে মারছে, তখন পাশ দিয়েই বাস, মোটরবাইক, ট্যাক্সি যাচ্ছিল। কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। বরং মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। রাস্তায় পিটিয়ে মারার দৃশ্য ভাইরাল হতেই হইচই পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
এভাবে প্রকাশ্যে একজনকে খুন হতে দেখেও কেউ কেন এগিয়ে এলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নিহত যুবকের নাম অজয়। তাঁকে খুন করার পর পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত গোবিন্দ ও অমিত। কিন্তু কেন খুন হতে হল অজয়কে? নিহতের ভাই সঞ্জয়ের দাবি, তাঁর ও গোবিন্দর মধ্যে একটি ফুলের দোকান করা নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হয়েছিল। ক্রমে বিষয়টা এমন জায়গায় গড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অজয়কে খুন করে গোবিন্দ। ঘটনায় কাঠগড়ায় পুলিশের ভূমিকাও। সঞ্জয় জানাচ্ছেন, কয়েকদিন আগেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু নড়েচড়ে বসেনি পুলিশ। কেন পুলিশ এমন নিস্পৃহতা দেখাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। খুনের পরে অবশ্য পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
গোটা ঘটনায় অভিযুক্তদের নিষ্ঠুরতা ও পুলিশের নিস্ক্রিয়তার পাশাপাশি সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন ঘটনার সময় উপস্থিত সাধারণ জনতাও। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুই অভিযুক্ত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করছে অজয়কে। অসহায় যুবকটি রাস্তার মাঝপথে পড়ে রয়েছে। সারা দেহ ভেসে যাচ্ছে রক্তে। সে একেবারে অচেতন না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। আর এই পুরো সময় পাশ দিয়ে চলে যান বহু পথচারী। সাইকেল, গাড়িতে করেও বহু মানুষ যে যার গন্তব্যে চলে যান উদাসীন ভঙ্গিতে। গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দিও করে রাখেন কেউ। কিন্তু একবারও কেউ অভিযুক্তদের বাধা দেননি। এমনকী, তারা পালিয়ে যাওয়ার পরও রক্তস্নাত অজয়কে হাসপাতালে নিয়ে যাননি কেউ! কী করে চোখের সামনে একজনকে মারা যেতে দেখেও এতজন মানুষ এমন নিস্পৃহ থাকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু নেটিজেনই এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন।