ব্রিটেন ফেরত ৬ ভারতীয়র শরীরে আজ করোনার নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলতেই উদ্বেগ শুরু হয়েছে দেশবাসীর মধ্যে। উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। এর জেরেই নতুন নির্দেশ জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই নির্দেশিকা অনুসারে ডিসেম্বরের ৯ তারিখ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে বিদেশ ফেরত করোনা আক্রান্ত ভারতীয়দের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে। তাঁদের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেন রয়েছে কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এছাড়াও, অন্য যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন তাঁদের উপরেও আলাদা করে নজর রাখা হবে। রাজ্য ও জেলা স্তরের প্রশাসন তাঁদের উপর নজর রাখবে। আইসিএমআর গাইডলাইন মেনে ফেরত আসার পঞ্চম ও দশম দিনে করোনা পরীক্ষা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, “শেষ ১৪ দিনে যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে যদি উপসর্গহীন ও করোনা পজিটিভ কেউ থাকেন, তাহলে তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট করা হবে।”
ইতিমধ্যে ব্রিটেন থেকে ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, সুইডেন, ফ্রান্স, স্পেনের মত দেশে করোনার এই নতুন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতেও এটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে আজকেই। ইতিমধ্যেই দেশে ছয় আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সার্স কোভ-২ ভাইরাসের জন্য জিনোমিক কনসোর্টিয়াম তৈরি করা হয়েছে, যাঁরা এই মারণ ভাইরাসের জিনগত বিবর্তনের দিকে খেয়াল রাখবে। সারা দেশে করোনা ভাইরাসের কী ধরনের জিনগত বৈচিত্র রয়েছে, তাও খুঁজে দেখবে।
ভারত এই নতুন স্ট্রেন খুঁজে পাওয়ার পর থেকেই দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্রিটেন থেকে বিমান আসা যাওয়া বন্ধ করা থেকে শুরু করে ব্রিটেন ফেরতদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা করার বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০টি পরীক্ষাগার চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দেশজুড়ে থাকা সমস্ত করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের পজিটিভ রিপোর্টের পাঁচ শতাংশ পাঠান হবে নতুন স্ট্রেন খুঁজে দেখার জন্য। নতুন স্ট্রেনের সঙ্গে লড়াই করতে কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক এসওপি বা নির্দেশনামাও জারি করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হল এই জিনোম সিকোয়েন্সিং।