নতুন কৃষি বিলকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া কৃষক বিক্ষোভের চাপে সমস্যা বাড়ছে বিজেপির। এনডিএ’র সঙ্গ ছেড়েছে রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি। এর আগে পাঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলও গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়ল না শরদ পাওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। একে একে সব জোটসঙ্গীই বিজেপিকে ছেড়ে যাবে এবং অচিরেই এনডিএ ধূলিসাৎ হবে বলে ইতিমধ্যেই খোঁচা দিয়েছে এনসিপি।
দলের মুখপাত্র মহেশ তাপাসে নতুন কৃষি আইনকে ‘কঠোর’ বলে ইঙ্গিত করে বলেন, এনডিএ-র শেষের শুরু হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির আরেক জোটসঙ্গীও এনডিএ ছাড়ল কৃষকদের সমর্থন করে। তাড়াহুড়ো করে কঠোর কৃষি আইন কার্যকর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকার। বিরোধীরা সকলেই এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। আজ যখন দেশের কৃষকরা এই আইনের প্রতিবাদে একত্রিত হয়েছে, তখন আরএলপিও সাহস করে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গেল।’ তাঁর মতে, এনডিএ’র বাকি শরিক দলগুলির কাছেও আর কোনও ‘অপশন’ নেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া ছাড়া।’
এদিকে শনিবারই এউপিএ জোট নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। শিব সেনার মুখপত্র ‘সামনা’-তে দাবি করা হয়, সোনিয়া গান্ধীর পরে শরদ পওয়ারই ইউপিএ-র হাল ধরার যোগ্যতম নেতা। এর আগেও এই দাবি করেছে তারা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিজেপি কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বলে, কতকাল আর এভাবে শিব সেনার কাছে অপমানিত হবে তারা। বিকেলেই কংগ্রেসের তরফেও শিব সেনার এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয়।