মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ অটুট। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকেরা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলন। এবার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতীকী অনশনে বসলেন দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ১০ জন রাজনৈতিক বিচারাধীন বন্দী।
প্রসঙ্গত, দিল্লীতে গত ৩২ দিন ধরে অবস্থান আন্দোলন করছেন কৃষকেরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। যতদিন না তা করা হচ্ছে, রাজধানীর বুকে চলবে এই প্রতিবাদ। দিল্লীর বিভিন্ন সীমানায় শান্তিপূর্ণ অবস্থানও করছেন কৃষক প্রতিনিধিরা। একাধিকবার কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। মোদী সরকারও নিজেদের অবস্থানে অনড়। প্রয়োজনে কিছু সংশোধনী আনা যেতে পারে, তবে আইন কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না। এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লীর কনকনে শীতে আন্দোলনরত অবস্থায় প্রাণও হারিয়েছেন একাধিক কৃষক।
এবার এই আইনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন সংশোধনাগারের বন্দীরা। সংশোধনাগার সূত্রে খবর মিলেছে যে, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে রাজনৈতিক বন্দীদের পক্ষ থেকে অখিলচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে চলছে প্রতীকী অনশন। আন্দোলনকারীদের মধ্যে চার পাঁচজন মাওবাদী নেতাও রয়েছেন। তাঁরা নিজস্ব সেলে প্রতীকী অনশন চালাচ্ছেন। কেন্দ্র সরকার নয়া যে তিনটি কৃষি আইন এনেছে, তা প্রত্যাহার করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, দিল্লীর কৃষক আন্দোলনের আঁচ ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে বাংলায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দু’বার সিঙ্ঘু সীমানায় অবস্থানকারী কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। ব্লকে ব্লকে তৃণমূল প্রতিবাদও করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী মঙ্গলবার বোলপুরে যে পদযাত্রা করবেন, সেখান থেকেও এই আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠবে। এরইমধ্যে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রতীকী অনশনে বসলেন রাজনৈতিক বন্দীরা। দেশজুড়ে পরপর এই প্রতিবাদ দুশ্চিন্তা বাড়াবে সরকারের অন্দরে, ধারণা রাজনৈতিক মহলের।