২০১৯ সাল থেকেই মন্দার গ্রাসে দেশের অটোমোবাইল সেক্টর। তবে মনে করা হয়েছিল, গাড়ি বিক্রির চাকা একেবারে বসে গেলেও ২০২০ সালে নিশ্চয় হাল ফিরবে এই শিল্পে। কিন্তু নতুন করে গাড়ির বিক্রিতে কামড় বসায় করোনা এবং তার জেরে হওয়া দীর্ঘ লকডাউন। এখন লকডাউন উঠলেও গাড়ি শিল্পের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে কন্টেনারের অভাব। যার জেরে এক দিকে যেমন যন্ত্রাংশ আমদানিতে সমস্যা হওয়ায় মার খাচ্ছে গাড়ি তৈরি, তেমনই আবার তৈরি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সংস্থাগুলিকে।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে সার্বিক ভাবেই সমস্যা তৈরি হয়েছে বাণিজ্য ক্ষেত্রে। লকডাউনের সময়ে তলানিতে চলে গিয়েছিল রপ্তানি। আনলক পর্ব থেকে তা ধীরে ধীরে মাথায় তুলছে ঠিকই। কিন্তু এখনও দেশের আমদানি গতি পায়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ফলে সব মিলিয়ে ভারতে কন্টেনার আসছে কম। সাধারণত আমদানি করা পণ্যের কন্টেনারগুলিই জিনিস বোঝাই করে আবার রপ্তানিতে ব্যবহার করা হয়। যে কারণে বিদেশে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়ছে বিভিন্ন শিল্প। তার ওপরে সম্প্রতি আমদানিকৃত পণ্য খালাসের ব্যাপারে কাস্টমসের কিছু নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। এর ফলে বন্দরে পণ্য খালাসের জন্যও বেশি সময় লাগছে।
ফলে শুধু গাড়ি-ই নয়, ভুগছে ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ বেশ কিছু শিল্প। সেই সঙ্গে সমস্যা বাড়াচ্ছে কন্টেনারের বর্ধিত ভাড়াও। যার জেরে বিদেশের বাজারে কড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে রপ্তানিকারীদের। গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের (সিয়াম) ডিরেক্টর জেনারেল রাজেশ মেনন বলেন, ‘কন্টেনারের অভাবে স্বাভাবিক ব্যবসা চালানোই দায় হয়ে উঠেছে। কন্টেনারের ভাড়া বাড়ায় রপ্তানির জন্য তৈরি গাড়ির উৎপাদন খরচ বাড়ছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়ছে ভারতীয় সংস্থাগুলি।’