কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিল নিয়ে গত মাসের শেষের দিক থেকে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। দিল্লী চলো অভিযান করে বিলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। রাস্তায় নেমে বার বার নিজেদের দাবি নিয়ে সরব হচ্ছেন উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড-সহ দেশের নানা প্রান্তের কয়েক হাজার কৃষক। আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন কৃষকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। কেন্দ্রের সঙ্গে বার বার বৈঠকেও মেলেনি সমাধান সূত্র। নিজেদের দাবিতেই অনড় তাঁরা আন্দোলন চালাচ্ছেন দিল্লী সীমান্তে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিতে ইতিমধ্যেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বেশ কিছু অসরকারি সংগঠন। আর্থিক সাহায্য থেকে শুরু করে কম্বল দেওয়া, গরম জামা তুলে দেওয়ার কাজ করছে তারা। এরই মধ্যে এ বার আন্দোলনরত কৃষকদের জন্য কিষান মল তৈরি করল খালসা এইড নামের এক আন্তর্জাতিক অসরকারি সংগঠন।
এর আগে এই আন্তর্জাতিক অসরকারি সংগঠনই কৃষকদের জন্য, বিশেষ করে বয়স্ক কৃষকদের জন্য ফুট মাসাজের ব্যবস্থা করেছিল। বিলি করা হয়েছিল ফুট মাসাজ মেশিনও। এ বিষয়ে ANI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খালসা এইডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমরপ্রীত জানান, বয়স্ক আন্দোলনরত কৃষকদের জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁরা যেহেতু বহু দিন ধরে আন্দোলনে বসে আছেন, সে কারণে তাঁদের শারীরিক ক্লান্তি দূর করার জন্য ফুট মাসাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কৃষকদের খাদ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে এর আগে একটি বিরাট রুটি মেশিনও বসানো হয় দিল্লি সীমান্তে। যাতে প্রতি এক ঘণ্টায় ১৫০০ থেকে ২০০০ রুটি তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি বসানো হয়েছিল পিৎজা লঙ্গরও!
খালসা এইডের এক স্টোর ম্যানেজার গুরু চরণ জানান, তাঁরা খালসা এইডের তরফ থেকে একটি করে টোকেন ইস্যু করবেন প্রত্যেকের জন্য। সেই টোকেন নিয়ে কিষান মলে আন্দোলনরত কৃষকেরা আসতে পারবেন। ওই টোকেন দেখিয়ে তাঁরা যা যা প্রয়োজন নিতে পারবেন। কী কী পাওয়া যাবে তার একটা তালিকা বানানো হয়েছে, যা রাখা থাকবে মলে। প্রত্যেক দিনে একজন মানুষের যা যা প্রয়োজন পড়তে পারে, সবই এখানে পাওয়া যাবে। তাঁরা যা যা চাইবেন এখানে এসে, মলে উপস্থিত খালসা ভলান্টিয়াররা সেই সব জিনিস তাঁদের হাতে তুলে দেবেন। খবর মোতাবেকে, খালসা এইড প্রতি দিন ৫০০-রও বেশি টোকেন বিলি করছে।
প্রত্যেক দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকবে ওই মল। রয়েছে দিল্লির টিকরি সীমান্তে। এখান থেকে নিজেদের প্রয়োয়জন মতো টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, থার্মাল, সোয়েটার, কম্বল বা চাদর, তেল, শুকনো দুধ বা গুঁড়ো দুধ, স্যানিটারি ন্যামকিন, জুতো-সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু নিতে পারবেন তাঁরা। এর জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না তাঁদের।