করোনা অতিমারীর প্রকোপ কমতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। এবার বদলে যাচ্ছে হাওড়া স্টেশনের আদল। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য যুক্ত হচ্ছে বেশ কিছু নয়া পরিকাঠামো। শিয়ালদহের মত এই স্টেশনেও তৈরি হতে চলেছে ঝাঁ-চকচকে লাউঞ্জ। এর পাশাপাশি শপিং মল থেকে ওয়েটিং রুমকেও দেওয়া হবে বাণিজ্যিক রূপ। উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক ভাবে কাজে লাগিয়ে স্টেশনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়ের পথ প্রশস্ত করতে চাইছে রেল দফতর।
এপ্রসঙ্গে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা বলেছেন, হাওড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও জনবহুল। সেই তুলনায় স্টেশনটি যথেষ্ট সুন্দর নয়। যা সহজেই হতে পারে। এবার তারই উদ্যোগ নেওয়া হল। মূল প্রবেশ দ্বারের সাবওয়েটির সংস্কারের পাশাপাশি তাতে বিজ্ঞাপনের ব্যবহার, আলোর ব্যবস্থা করা হবে। সূত্রের খবর, এবিষয়ে আগামী সপ্তাহে কেএমডিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে রেলকর্তাদের বৈঠক হতে চলেছে। সঞ্জয়বাবু আরও জানান, সাবওয়েটির একাধিক রাস্তা কোন দিকে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের অনেকেই। বিশেষত নতুন যারা কলকাতায় আসছেন তাঁদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই।স্টেশনের ভিতর নয়, বাইরের চত্বরও এবার ঢেলে সাজানো হবে। হাওড়া সিটি পুলিশ রেলকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ডিআরএম বলেন, এখন অ্যাপের মাধ্যমে ট্যাক্সি বুকিং হয়। যাত্রীরা বুকিং করে অনেক দূরে গিয়ে গাড়িতে চড়েন। এই সমস্যা সমাধানে স্টেশনের সামনে আলাদা কিউ হবে গাড়ির। ট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণে বিমান বন্দরের মতো ব্যবস্থা হবে স্টেশনের সামনে। প্রিপেড কিউগুলো উন্নতমানের করা হবে। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের পুরোনো প্ল্যাটফর্মগুলি ভেঙে স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত করা হবে। পে এন্ড ইউজ টয়লেট বসবে স্ট্যান্ডে। বাস বা ছোট গাড়িতে হাওড়া আসার পর যাত্রীরা নিশ্চিন্তে গন্তব্যস্থলে যেতে পারেন। সেজন্য নানা জায়গায় লাগানো হবে নির্দেশিকা বোর্ড।
করোনা আবহ-পরবর্তী সময়ে স্টেশনের ভিতরে লাউঞ্জ, শপিংমল তৈরি করতে আগ্রহী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। ডিআরএম সঞ্জয়কুমার সাহা স্পষ্টতই জানিয়েছেন, লাউঞ্জের জন্য ইতিমধ্যে জায়গাও নির্বাচিত হয়েছে। পুরোনো স্টেশনের ফুডপ্লাজার পাশে একসময় মিউজিয়াম থাকলেও তা এখন পরিত্যক্ত। ফলে সেখানে বিলাসবহুল লাউঞ্জ তৈরি করা হবে। কিছু খরচের বিনিময়ে যাত্রীরা তা ব্যবহার করতে পারবেন। ভিতরে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া, স্পা, সামগ্রী বেচাকেনার স্টল, শৌচাগার প্রভৃতি। নতুন স্টেশনে একই পদ্ধতিতে উন্নয়ন ঘটানো হবে ক্রমান্বয়ে। শিয়ালদহের সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু হবে খুব শীঘ্রই, জানিয়েছেন সঞ্জয়বাবু।