বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে এদিন ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন মোদী। তুলে আনেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গুজরাত যোগের প্রসঙ্গ। এবার সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি, কিন্তু মোদীর ভাষণে শুধু তাঁর গুজরাত যোগের কথা কেন?’ তাঁর দাবি, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়েও প্রাদেশিকতার রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি।
এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখান থেকে ব্রাত্য বলেন, ‘বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী যে ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, সেখানে ভরপুর ছিল ভুল তথ্য। রবীন্দ্রনাথের মেজদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বড়দা বলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর স্ত্রীয়ের নামের ভুল উচ্চারণ করেছেন। এছাড়া রবীন্দ্রনাথের গান উদ্ধৃত করতে গিয়ে বিকৃতি করা হয়েছে।’
ব্রাত্য বসুর খোঁচা, ‘রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে গুজরাতের সম্পর্ক বার করতে প্রধানমন্ত্রী এত উৎসাহী কেন তা বোঝা গেল না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য মতো, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী গুজরাতি রমণীদের কাছ থেকে শাড়ি পরার কৌশল শিখেছিলেন এ কথা ঠিকই। কিন্তু তা অর্ধ সত্য। তিনি যে পার্সি রমণীদের কাছ থেকেও বিশেষভাবে শাড়ি পরা শিখেছিলেন তা সন্তর্পণে এড়িয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’ ব্রাত্যর আরও দাবি, ‘এভাবে বারবার বাংলাকে ছোট করছেন নরেন্দ্র মোদীরা। বাংলার গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ছোট করা হচ্ছে।’
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের রেশ ধরে তাঁর কটাক্ষ, ‘রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে মমতার চেয়ে তিনগুণ বিজেপি বিরোধিতা করতেন। প্রাদেশিকতা ও সংকীর্ণ রাজনীতির তীব্র বিরোধী রবীন্দ্রনাথকে সেকুলার, নাস্তিক বলে দাগাত বিজেপি। বিজেপির আইটি সেল তাঁকে গালাগাল করত, বাঁচতে দেওয়া উচিত নয় বলে মনে করত।’ রবীন্দ্রনাথের লেখার একাধিক উদ্ধৃতি দিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা। ব্রাত্যর কথায়, ‘বিজেপি ক্ষুদিরাম, ইন্দুভূষণ রায়দের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করছেন। আদতে বাঙালির পূর্বপুরুষদেরই ছোট করা হচ্ছে।’