‘আমাকে কুকথা বলুক, আক্রমণ করুক সহজ ভেবে, শেষ পর্যন্ত আমিই জিতব।’ কাঁথিতে যখন শুভেন্দু অধিকারী বেনজির ভাবে তাঁকে আক্রমণ করছেন, ঠিক তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবেই ধরা দিলেন লক্ষ্যে অবিচল ভঙ্গিমায়। সাংবাদিক বৈঠকে বলে দিলেন, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব নেবো।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে প্রকৃতার্থেই তাজপুর নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, ২৮ ডিসেম্বর তাজপুর বন্দর পত্তনের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ঘোষণা, ‘এই প্রকল্প অন্তত ৪২০০ কোটি টাকার।’ তিনি জানান, এই প্রকল্পে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। কর্ম সংস্থান হবে অন্তত ২৫ হাজার।
এছাড়া এল সিঙ্গুরের কথাও। বললেন সেখানে ইন্ডাস্টিয়াল পার্ক তৈরি হয়েছে যাতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব হবে। পানাগড়েও ধানুকা গ্রুপকে ফুড প্যাকেজিংয়ের জমি দেওয়ার কথা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বভারতীর শতবর্ষেক অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি। সে কথায় সীলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। মনীষীদের হেয় করা হচ্ছে, এই মর্মে তিনি তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। পৌষমেলা বন্ধ হওয়া নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মমতা।
শান্তিনিকেতনের কাছেই নোবেলজয়ী রাজনীতিবিদ অমর্ত্য সেনদের পারিবারিক জমি নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছ, একদল বলছে অমর্ত্য সেনের পরিবার নাকি সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ের তীব্র নিন্দা করে বার্তা দিলেন, বাংলার হয়ে অমর্ত্য সেনের কাছে ক্ষমা চাইছি। বিদ্বজনদের উদ্দেশ্য বললেন, ‘এর বিরুদ্ধে সরব হতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে হবে।’