প্রয়াত জাতীয় পুরষ্কারজয়ী পরিচালক জগন্নাথ গুহ। আজ, মঙ্গলবার ভোর চারটেয় জীবনাবসান হয় তাঁর। পরিচালনা হোক বা অভিনয়, বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান অসীম। অসুস্থতার কারণে উডল্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ জগন্নাথবাবুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর সাউথ সিটির বাসভবনে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জগন্নাথবাবুর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে শিল্পী মহলে। পরিচালক অতনু ঘোষ ফেসবুকে স্মৃতিচারণ করেছেন। “নানা প্রশ্ন নিয়ে যাওয়ার আর একজন মানুষ চলে গেলেন। সিনেমা, থিয়েটার, সাহিত্য, রাজনীতি, বিজ্ঞান, যে কোনও বিষয়ে আলোচনা, তর্ক করা যেত জগাদার সঙ্গে। প্রাণবন্ত, আমুদে একটা মানুষ। অনেক বিষয়ে আগ্রহ, পড়াশুনা, চিন্তাভাবনা। সঙ্গে তুমুল রসবোধ। আর ওই অসাধারণ ব্যারিটোনে চাঁচাছোলা সত্যিটা বলে দেওয়ার মানসিকতা,” লিখেছেন অতনু।
জগন্নাথবাবুর কর্মজীবন বর্ণময়। অভিনয় এবং পরিচালনা ছাড়াও এসআরএফটিআই-এর ডিন পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। শর্ট ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ‘সলিউশন এক্স’, ‘আবার যখের ধন’, ‘মনোরমা কেবিন’, ‘ওগো প্রিয়তমা’, ‘বর বউ খেলা’ তাঁর অন্যতম স্মরণীয় কাজ। হিন্দি সিনেমাতেও কাজ করেছেন তিনি। ‘নেমসেক’, ‘সিটি অব জয়’, ‘পুরুষোত্তম’, ‘ঘরে বাইরে আজ’-এর মতো ছবিতে রয়েছে তাঁর কাজ।
চলচ্চিত্র ছাড়াও থিয়েটার জগতে জগন্নাথবাবুর বহু কাজ মনে রাখার মতো। ‘আরোহন’-এ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর অভিনয় চিরস্মরণীয়। নাট্যদল জিগির-এর বর্ষীয়ান পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি। তাঁর লেখা ‘জেরা’ এখনও মঞ্চস্থ হয়