শিল্প থেকে শিক্ষা, বাংলা সর্বত্রই তলানিতে, রাজ্যে এসে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তাঁকে এবার উত্তর ফেরাল তৃণমূল। তথ্য বিশ্লেষণ করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হল, অমিত শাহ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে গিয়েছেন, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা বহু ক্ষেত্রেই এগিয়ে বাংলা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তথ্য নিয়ে হাজির হন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তিনি দেখান, গত ১০ বছরে ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে জিডিপি। শিল্পখাতে জিডিপিও বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ শতাংশ। পাশাপাশি মাখাপিছু আয়ের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বাংলা। সৌগত রায় বলেন, ‘কেন্দ্রের হিসেবেই শিল্পবৃদ্ধিতে রাজ্য ৫ নম্বরে। মিলগুলি চলছে, সম্প্রতি ৭ কোটি পাটের ব্যাগ বরাত দেওয়া হয়েছে।’ তৃণমূলের যুক্তি, শুধু রাজ্যে স্তরের উন্নয়নই নয়, এসেছে নানাস্তরের বিনিয়োগও। ২০১৬-১৮ ২৬ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে গত কয়েক বছরে।
অমিত শাহ কটাক্ষ করে গিয়েছিলেন আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প নিয়ে। সৌগত রায় এদিন উত্তর ফিরিয়ে বললেন, ‘বাংলার স্বাস্থ্যসাথী পুরনো প্রকল্প। ফলে ওই প্রকল্পকে গ্রহণ করার কোনও যৌক্তিকতাই নেই।’ পাশাপাশি তিনি জানান, ‘বছরে স্বাস্থ্য বাজেট বেড়েছে ৩ গুণ। রাজ্যের ১০০ শতাংশ স্কুলে বিদ্যুৎ এসেছে।’
রাজ্যে প্রচারে এসে বিজেপি সেনাপতি দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের আমলে কোনও শিল্প, চাকরি কিছুই হয়নি বাংলায়৷ অমিত শাহের সেই দাবির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনীতির জন্য বিজেপি সবকিছু করতে পারে। বিজেপি একটা চিটিংবাজের পার্টি। অমিত শাহ কাল অনেক মিথ্যে কথা বলেছেন৷ আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে দেশে এক নম্বর। রাজ্য নয়, কেন্দ্রীয় সরকারই এই তথ্য দিয়েছে। কাল সাংবাদিক বৈঠকের পর প্রমাণ-সহ সব তথ্য দেব। তথ্য যাচাই না করে মনগড়া তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’ এদিন সেই তথ্যই পেশ করল তৃণমূল।