শনিবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দুর দলত্যাগের কোনও প্রভাব পড়েনি তাঁর নিজের জেলাতেই। এমনটাই জানাল তৃণমূল। শুধু তাই নয়। নিজেদের শক্তির জানান দিতে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কাঁথিতে সমাবেশের দিন ঘোষণা করে দিল ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন উত্তর কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূল থেকে তিনিই একমাত্র বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আরও ২ বিধায়ক থাকলেও, তাঁদের একজন সিপিএম এবং একজন সিপিআই-এর। বিভিন্ন জেলায় ৮০ জনেরও বেশি নেতানেত্রী শনিবার অমিত শাহের সভায় যোগ দিলেও, সেই তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুর কিংবা ঝাড়গ্রামের কোনও তৃণমূল বিধায়ক নেই।
শুধুু তাই নয়। শুভেন্দু অধিকারী শুধু নিজের জেলায় নন, নিজের বাড়িতেও ভাঙন ধরাতে পারেননি। বাবা শিশির অধিকারী কিংবা বাকি দুই ভাই এখনও তৃণমূলেই আছেন। ইতিমধ্যেই তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের সদস্য। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সিদ্ধান্ত তাঁর ব্যক্তিগত। পাশাপাশি বলেছেন, তিনি তৃণমূলের সৈনিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে সভা করবে তারা। ইতিমধ্যেই সেখানে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। প্রচার করা হচ্ছে মাইকে। জানা গিয়েছে, অধিকারী বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে থেকেও মিছিল করবে তৃণমূল। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও সেদিনের সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কাঁথিতে দলের কর্মসূচীতে অংশ নেবেন। জানুয়ারির শুরুর দিকে সেই কর্মসূচী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।