উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সম্প্রতি চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে তরুণীকে গণধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছিল। সিবিআইয়ের এই বক্তব্যের পরে অনেকেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবার বিজেপির এক মন্ত্রী জানালেন, এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উপর বিশ্বাস ছিল না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ২০ বছরের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে চার উচ্চবর্ণের যুবকের বিরুদ্ধে। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে দিল্লির এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু তারপরে দেহ পরিবারের হাতে না তুলে দিয়ে জোর করে রাতের অন্ধকারে সেই দেহ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। তারপরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। অবশ্য যোগীরাজ্যের পুলিশ দাবি করে পরিবারের ইচ্ছা মেনেই দেহ পোড়ানো হয়েছে।
পুলিশের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন মহলের মানুষ। তাতে যোগ দেয় বিরোধী দলগুলিও। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া। প্রথম দিন তাঁদের আটকে দেওয়া হলেও দ্বিতীয় দিনে গিয়ে দেখা করেন তাঁরা। আটকানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকেও।
এই সপ্তাহে সিবিআই জানিয়েছিল, তাদের তদন্ত করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ জানায়, ২৭ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগেই চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এবার স্বয়ং বিজেপির মন্ত্রী এহেন মন্তব্য করায় বিপাকে যোগী সরকার।