মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিকে ঝাঁজরা করে দেব”, নিজ ভূমে ফিরেই হুঁশিয়ারি বিমল গুরুংয়ের। প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রতিটি বিবৃতিতেই বিজেপিকে বিঁধেছেন গুরুং। রবিবারও দার্জিলিংয়ের চকবাজারের মোটরস্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত জনসভাতেও তাঁর নিশানা ছিল বিজেপির দিকেই। অমিত শাহ থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, তাঁর তোপ থেকে রেহাই পাননি কেউই। পাশাপাশি এদিন সভা থেকে পাহাড়ের তিনটি বিধানসভা আসনে তৃণমূলকে বিপুল ভোটে জয়ী করার প্রতিশ্রুতিও দেন বিমল।
এদিন জনসভা থেকে বিমল তৃণমূলের পক্ষে ৪৯ টি আসন জেতার প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের খোলা জবাব দেন। জনশ্রুতি, তাঁর নেপালসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল ক্যাসিনো রয়েছে। তিনি বলেন, “আমার ছেলে তিন বছর আমার সঙ্গে অজ্ঞাতবাসে ছিলেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করত, তোমার এত কিছু আছে শুনি। সত্যিই যদি তোমার সম্পত্তি থেকে থাকে তাহলে সেখানে আমরা যেতে পারি। আমি কিছু বলতে পারিনি।” পাশাপাশি বিনয় তামাং অনিত থাপাদের খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, ক্ষমতা থাকলে মিথ্যে কথা না বলে সতেরো আঠারোটা আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়ে দেখানোর।
রবিবার শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে গুরুংকে স্বাগত জানান অনুগামীরা। সুকনায় একদফা সংবর্ধনা জ্ঞাপন করার পর গারিধুরা, কার্শিয়াং, ঘুম, সোনাদা, টুং, জোরবাংলো এলাকায় তাঁকে দফায় দফায় গাড়ি থামিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। দার্জিলিংয়ের মোটর স্ট্যান্ড এলাকায়, যেখানে জনসভার মঞ্চ করা হয়েছিল সেখানে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভোর ছ’টা থেকে জমায়েত করতে শুরু করে। জনসভার আনুষ্ঠানিক সূচি ঘোষণা করা ছিল সকাল দশটায়। তার অনেক আগে থেকেই দীর্ঘদিন পর তাঁদের নেতাকে চাক্ষুষ করতে হাজির হয়েছিলেন দার্জিলিং সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ।