যে কোনও পরিস্থিতিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন, আছেন, থাকবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন আগেই তাঁর গণতান্ত্রিকভাবে না পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুন করে বাংলা দখল করতে পারে বিজেপি-র মতো বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। এবার অমিত শাহের বোলপুর সফরের দিনে ফের তৃণমূল সুপ্রিমোর হয়েই গলা ফাটালেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনওদিন দলবদল করেনি। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল প্রতিষ্ঠা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাকে দলবদল বলে না। অমিত শাহর মতো একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেটা জানা উচিত ছিল। বারবার বাংলায় এসে একটা দল যদি তৃণমূলকে অপমানজনকভাবে উপেক্ষা করার চেষ্টা করে তা হলে আমরা অবশ্যই প্রতিবাদ করব। রাজ্য সরকারের নামে একের পর এক মিথ্যে কথা বললে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো পদে থেকেও ভুল তথ্য দিলে আমরা প্রতিবাদ করব। বাংলার মানুষও প্রতিবাদ করবে।’
সুব্রত এদিন আরও বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার দাবি করেছেন, তাঁর সরকার নাকি বাংলাকে ধান, শস্য দিয়েছে। তৃণমূলের কর্মীরা সেই ধান, শস্য রাজ্যবাসীকে দেয়নি। কিন্তু সত্যিটা হল মমতার সরকার রাজ্যের দশ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। মহামারীর সময় দেশের কোনও রাজ্য সরকার মানুষের জন্য এমন ব্যবস্থা করতে পারেনি। মমতার সরকার যেটা করেছে তা ভারতের ইতিহাসে লেখা থাকবে। কেন্দ্র দাবি করেছে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা তারা বাংলার জনগণকে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তৃণমূল নাকি রাজ্যে তা চালু করতে দেয়নি। এই রাজ্যে দেড় কোটির বেশি মানুষ বার্ষিক ৫ লাখ টাকা করে স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়েছেন। তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের ওপর নির্ভর করে ছিল না।’