প্রতিটি জনসভা থেকে রাজ্যে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতাকে হঠাবার ডাক দিয়ে বাংলায় পা রাখলেও অমিত শাহের বক্তৃতায় মিলল না কোনও পরিকল্পনা। শুধুই ব্যক্তি আক্রমণ করে গেলেন। এমনটাই বলছেন মেদিনীপুর কলেজ মাঠের জনসভায় উপস্থিত দর্শকরা।
এদিন নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেদিনীপুরের মাটিকে বিদ্যাসাগরের ভূমি, ক্ষুদিরামের ভূমি বলে চিহ্নিত অমিত শাহ বলেন, ‘ক্ষুদিরামের দেখাদেখি ধুতি পরার ফ্যাশান লেগে গিয়েছিল সেই সময়ের তরুণদের মধ্যে।’ তাঁর এই বক্তব্য বা দাবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতে হাসাহাসি শুরু হয়েছে। কারন ক্ষুদিরামের সময় দেশের মানুষের কাছে ধুতি ছাড়া অন্য কিছুই ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই ধুতি পড়ার ফ্যাশানের কথা কতজন শিক্ষিত বাঙালির হজম হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এরপরেই যথারীতি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শুরু করেন শাহ।
গোটা দেশে যখন মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তখন সেই আন্দোলনের কথা বিন্দুমাত্র তুলে না ধরে অমিত তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলেন। বলেন, ‘বাংলার কৃষকেরা বঞ্চিত কেন্দ্রের সাহায্য থেকে। মোদী পাঠাচ্ছেন ৬ হাজার টাকা। তা কেউ পাচ্ছেন না। তৃণমূলকে উৎখাত না করলে কেউ সেই টাকা পাবেন না। কেউ আয়ুষ্মান প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।’
একই সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয়ের লক্ষ্যে অমিত বলেন, ‘নাড্ডার কনভয়ে হামলায় আমরা ভয় পাই না। যত হিংসা হবে বিজেপির লোকেরা তত বেশি করে লড়বে।’ অমিত শাহের কথায়, ‘পাঁচ বছর আমাদের দিন, বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ে দেখাব। তৃণমূল সরকারকে উপড়ে না ফেললে কেন্দ্রের টাকা পাওয়া যাবে না। সব সমস্যার সমাধান একমাত্র বিজেপিই করতে পারবে।’