বাংলার তিন আইপিএস অফিসারের বদলি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে একের পর এক নেতা সরব হচ্ছেন। আগেই এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার সকালেই আইপিএস নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টুইট করে তোপ দেগেছেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এ বার মুখ খুললেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন।
এদিন টুইটে স্ট্যালিন লেখেন, ‘বঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে যে ভাবে বদলি করল বিজেপি সরকার, তা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। দেশের সিভিল সার্ভিস দিল্লীর শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে চলতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে এই বদলির নির্দেশ ফিরিয়ে নিতে আর্জি জানাচ্ছি।’ স্ট্যালিনের আগেই এদিন সকালে ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী আইপিএস বদলি নিয়ে টুইট করেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সঙ্কটের মুখে। আইপিএস অফিসারদের বদলি অত্যন্ত আপত্তিজনক।’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য সফর চলাকালীন ডায়মন্ড হারবারে তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে নতুন করে সংঘাত তৈরি হয়। যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রের তরফে এই অভিযোগ তুলে রাজ্য প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়। তারপর রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হয় দিল্লী থেকে। কিন্তু তিন অফিসারকে ছাড়তে নারাজ নবান্ন। বৃহস্পতিবার ফের তাঁদের ডেপুটেশনে চেয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাঁদের নতুন পোস্টের কথাও জানানো হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় টুইট করে জানান, কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ আইপিএস ক্যাডার রুল-১৯৫৪’র পরিপন্থী। তাতে সংঘাত আরও চরমে ওঠে।
এরপরও ফের রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয় যে তিন আইপিএস অফিসারকে এখনই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। ফলে শুক্রবার তাঁদের দিল্লীতে রিপোর্টিংয়ের জন্য তলব করা হলেও রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডে দিল্লী যাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। এবার মমতার সমর্থনে টুইট করে পাশে থাকার বার্তা দিলেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনও।