মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর দুয়ারে সরকার-এর বিভিন্ন ক্যাম্পে মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধি থেকে সরকারি আধিকারিকদের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। এ বার সেখানেই আবেদন জানানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে রূপশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা পেলেন বর্ধমানের প্রিয়া খাতুন ও তাঁর পরিবারের লোকেরা।
বর্ধমান পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাদশাহি মাঠপাড়ার বাসিন্দা প্রিয়ার বিয়ে ছিল মঙ্গলবার। তরুণীর বাবা শেখ সিরাজ ধারদেনা করে মেয়ের বিয়ের জন্য টাকার জোগাড় করেন। সকালেই কয়েকজন বন্ধুর কাছে জানতে পারেন, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করা যেতে পারে। পুরসভা খোলার পর সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে হাজির হয়ে যান প্রিয়া নিজে। বর্ধমান পুরসভায় রূপশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার কৌশিক মাঝিল্যার পাশাপাশি আতাহারুল ইসলাম নামে একজন ও অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিকাশ সোনকার আবেদনপত্র নিয়ে প্রিয়ার বাড়িতে গিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখেন। এ দিনই পুরসভার তরফে যাবতীয় কাগজপত্রের কাজ সেরে আবেদন অনুমোদন করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দফতরে।
অত্যন্ত দ্রুত কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রিয়া ও তাঁর বাড়ির লোক খুশি। সরকারি কর্মসূচির তৎপরতায় নিত্য সমালোচনার ধারাবাহিকতায় খানিক ব্রেক কষতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি-ও। ২০১৮-র রাজ্য বাজেটে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদানের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। পরিবারগুলি মেয়েদের বিয়ের সময় অনেক সময়ই অত্যন্ত চড়া সুদে টাকা ধার নিতে বাধ্য হয়। এই প্রকল্প তাদের সেই সমস্যার অনেকখানি সুরাহা করেছে। তবে অনেক সময় যাবতীয় প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করার পরেও প্রকল্পের টাকা পেতে পেরিয়ে যেত অনেকটা সময়।