জলপাইগুড়ির জনসভা থেকে গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ‘সব থেকে বড় চোর’ আখ্যা দিয়ে বিজেপির তুলনা টানলেন চম্বলের ডাকাতের সঙ্গে৷ বিজেপির এনআরসি, এনপিআর থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতি, একের পর এক ইস্যুতে কড়া ভাষায়আক্রমণ শানান তৃণমূলনেত্রী৷
২১-এর নির্বাচনের আগে জোরকদমে শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি ঝালাতে এবং উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরে এবিপিসি মাঠের জনসভার আগাগোড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় ছিল বিজেপি৷ কেন্দ্র থেকে রাজ্য একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রী৷ তিনি বলেন, ‘সবথেকে বড় চোর বিজেপি৷ সব চম্বলের বড় বড় ডাকাতরা আসছে৷ হিন্দু নয়, কুৎসা ও হিংসার ধর্ম তৈরি করেছে বিজেপি। মানুষে-মানুষে ভাগাভাগি করাই ওদের কাজ।’
নআরসি-এনপিআর নিয়েও সরব হন মমতা৷ বলেন, ‘আবার এনআরসি করবে বলছে৷ আর বিজেপির এনআরসির ধাক্কা খেতে হবে না। এনপিআর খায় না মাথায় দেয়! এনআরসি ও এনপিআরের তফাৎ কী? আগে সেটা বলুক৷ ওদের এই কথায় ভুলবেন৷ পাশেই তো আসাম৷ ওখানে ১৯ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর উক্তি উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যারা কাজ করে তাদেরই ভুল হয়৷ আমাদের কাজে ভুল হলে সংশোধন করে নেব। আগে যারা সরকারে ছিল কোন কাজটা করেছে! ভাষণ দিয়ে সব কাজ হয় না।’
রাজ্যে বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য সম্প্রতি বিজেপির চালু করা প্রতিশ্রুতি কার্ড নিয়েও আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানে তো প্রতারণা। চাকরির নোটিফিকেশন জারির পরেও ভোঁভা, কিছুই নেই! বলেছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেব, দিয়েছে? আর বাংলায় এখন ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছে, আর ভোটের পর হাওয়া! কেন্দ্র বেকারের সংখ্যা ৪০% বাড়িয়েছে৷ বলেছিল ক্ষমতায় এলে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেব, কেউ পেয়েছেন? শুধু উল্টোপাল্টা কথা বলার জন্য আছে এরা। বিজেপির উদ্দেশ্য বাংলাকে গুজরাত বানানো৷ আমরা বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না৷ জাতীয় সংগীত পাল্টে দেখাক৷ বাড়ির মহিলারাই উল্টে দেবে বিজেপিকে৷’