বাংলা সফরে আসা জে পি নাড্ডার কনভয়ে ক্ষুব্ধ জনতার হামলার ঘটনার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে তলব করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যদিও অফিসারদের দিল্লী পাঠাতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ভারতের রাজনীতির ইতিহাস বলছে কেবল মমতাই নন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জয়ললিতাও এমন প্রত্যাখ্যান জানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে।
প্রসঙ্গত, ২০০১-এর ১৩ মে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করছিলেন জয়ললিতা। ২৯-৩০ জুন রাতে তামিলনাড়ু পুলিশের সিবি-সিআইডি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে তার ডিএমকে সহকর্মী মুরসোলি মারান এবং টিআর-সহ গ্রেফতার করে। সেই সময় কেন্দ্রের বাজপেয়ী সরকার তৎকালীন চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনার কে মুথুকারুপ্পান, যুগ্ম কমিশনার সেবাস্তিয়ান জর্জ এবং জেলা প্রশাসক ক্রিস্টোফার নেলসনকে তলব করা হয়। যাঁরা জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিল। ওই সমস্ত অফিসারদের দিল্লী পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্মা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তামিলনাড়ু সরকারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের জন্য ওই তিন অফিসারদের সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের জন্য দেকে পাঠানোর পাশাপাশি অরুণ জেটলি জানিয়েছিলেন, আইপিএস অফিসারদের বদলির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ‘ওভার্রাইডিং পাওয়ার’ রয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জয়লতিতাও অফিসারদের পাঠাতে অস্বীকার করেন। সেই সময় অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠিও লেখেন তিনি। উল্লেখ্য, বাংলায় কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনটির জন্য যে অফিসারদের তলব করেছে কেন্দ্র, তাঁরা হলেন- রাজীব মিশ্র (অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল, দক্ষিণ বঙ্গ), প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পান্ডে (এসপি, ডায়মন্ড হারবার)।