মে মাসে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তবে তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে শেষ পর্যন্ত তার মাত্র ১০ শতাংশ খরচ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাজেট প্রস্তুতিতে সব মহলের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রথম দিনেই অর্থমন্ত্রীকে শিল্পমহল প্রায় এক সুরে বলল, ঘাটতির কথা আগামী বছর বা তার পরে ভাবা যাবে। এখন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পরিকাঠামোয় দরাজ হাতে টাকা ঢালুন। সেই সঙ্গে অতিমারির মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতেও আরও বরাদ্দ বাড়ান।
প্রসঙ্গত, অর্থনীতিবিদরা বার বার অভিযোগ তুলেছেন, মোদী সরকার অর্থনীতিতে জোয়ার আনতে, বাজারে চাহিদা বাড়ানোর জন্য রাজকোষ থেকে যথেষ্ট টাকা খরচ করছে না। মূলত ব্যাঙ্কের ঋণের উপরই নির্ভর করছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই ব্যাঙ্কের ঋণও বিশেষ বিলি হয়নি। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে বণিকসভা সিআইআই সভাপতি উদয় কোটাক বলেন, ‘করোনার সময়ে কর বাবদ আয় যথেষ্ট কমে গিয়েছে বলে আগ্রাসী হয়ে বিলগ্নীকরণ ও সরকারি সম্পত্তি বেচে টাকা তুলতে হবে। সিআইআই সুপারিশ করেছে, বাজেটে আর্থিক বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। চলতি বছরের রাজকোষ ঘাটতির কথা না ভেবে তিন বছরের সময়কালে ঘাটতি নিয়ে ভাবতে হবে।’
উল্লেখ্য, চলতি অর্থ বছরে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৫ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু বাজেট তৈরির সময়ে করোনার ধাক্কা লাগেনি। এখন ঘাটতির হার লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। অর্থ মন্ত্রকই ঘোষিত লক্ষ্যের দেড়গুণ ঋণ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। বণিকসভা ফিকি সুপারিশ করেছে, এখনও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য আরও দাওয়াই দরকার। ঘাটতির কথা পরে ভাবা যাবে। আর এক বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম সুপারিশ করেছে, কর্পোরেট সংস্থার করের হার কমানোর পরে এবার সাধারণ মানুষের আয়করের হারও কমানো হোক। তা হলে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেশি থাকবে।