ফের গুলিযুদ্ধে কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর। রবিবার পুঞ্চ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে লস্কর-ই-তইবার জঙ্গীদের গুলির লড়াই হয়। দুই জঙ্গী নিহত হওয়ার পাশাপাশি ধরা পড়ল তাদের এক সহযোগী। সুরানকোটে এলাকার চট্টপানি-দুগরান গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সন্ত্রাসবাদীদের ডেরা ঘিরে ফেলেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। তারপর জঙ্গীদের কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তা তারা প্রত্যাখ্যান করে। এর জেরে রবিবার সকাল থেকে তুমুল গুলিযুদ্ধ শুরু হয় জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার দুগরানের মুঘল রোড এলাকায়। শেষ পর্যন্ত দুই জঙ্গীকে খতম করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে।
প্রসঙ্গত, জম্মু পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মৃত দুই জঙ্গীর নাম সাজিদ ও বিলাল। ঘটনাস্থল থেকে দুটি এ কে-৪৭ রাইফেল, ৬টি ম্যাগাজিন, ৩০০ রাউন্ড কার্তুজ-সহ উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র।
পুলিশের অন্যতম সূত্র অনুযায়ী, জঙ্গীদের মধ্যে একজন স্থানীয় ও দু’জন বিদেশী। তিনদিন আগেই তারা নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঢুকেছিল এদেশে। জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার যৌথ অভিযান চালানোর ছক ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় নির্বাচনে ঝামেলা তৈরির পরিকল্পনাও করে তারা। সম্প্রতি ৪৬ বছরের তালিব হুসেন নামে এক ব্যক্তির পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। তাতে বলা হয়, ডোগরিয়ান বাফলিয়াজের চিয়ে গ্রামের বাসিন্দা গুলাম হুসেনের ছেলে তালিব গত ৯ই ডিসেম্বর থেকে নিরুদ্দেশ। কাছেই একটি নদী থেকে নুড়ি তুলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, আর ফিরে আসেননি। এরপরই পুলিশ ও ১৬ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ বাহিনী তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তখন একটি বাড়িতে জঙ্গীদের লুকিয়ে থাকার খবর আসে। পরে ওই বাড়িটি ঘিরে ফেলে জঙ্গীদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু, তারা তাতে কান দেয়নি। তাতেই শুরু হয় গুলির লড়াই।