করোনা ভ্যাকসিন কবে আসবে? আপাতত সেই অপেক্ষাতেই প্রহর গুনছে দেশবাসী। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সেই ভ্যাকসিন এলে বিলি করা হবে, কোন দফায় কারা ভ্যাকসিন পাবেন, কোন সেশনে ক’জন ভ্যাকসিন পাবেন- এ সব নিয়েই নয়া এসওপি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আগেই জানিয়েছিলেন, এক্ষেত্রে নির্বাচনী পরিকাঠামো ও লোকবল ব্যবহার করা হবে। এবার গাইডলাইন্সে সেই ঘোষণারই প্রতিফলন দেখা গেল।
এসওপি-তে বলা হয়েছে, এক-একটি সেশনে অর্থাৎ এক দিনে একটি ক্যাম্পে সর্বোচ্চ ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে। তবে সঠিক পরিকাঠামো থাকলে এই সংখ্যাটা বেড়ে ২০০ জনও হতে পারে। নির্দিষ্ট এলাকায় ক্যাম্প করা হবে। যেখানে এই ক্যাম্প হবে সেখানে ন্যূনতম তিনটি ঘর থাকতে হবে- ওয়েটিং রুম, ভ্যাকসিন রুম ও অবজারভেশন রুম।
কেন্দ্রের বানানো ১১২ পাতার এই এসওপি অনুযায়ী, ভ্যাকসিন প্রদানকারী টিমে পাঁচজন করে সদস্য থাকবেন। এক জন মুখ্য আধিকারিক ও বাকি চারজন তাঁকে সাহায্য করবেন। মুখ্য আধিকারিক হবেন চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী কিংবা ইঞ্জেকশন দিতে পারে (আইনত) এমন কোনও ব্যক্তি। বাকি চারজনের মধ্যে একজন রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করবেন, অর্থাৎ কারা ভ্যাকসিন নিলেন সে সমস্ত তথ্যের দেখভাল করবেন। এমনকী, ক্যাম্পের প্রবেশপথে নজর রাখার দায়িত্ব থাকবে তার উপর। তৃতীয় ব্যক্তি নথি যাচাই করবেন। চতুর্থ ও পঞ্চম অফিসার ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের সঙ্গে কমিউনিকেশনের দায়িত্বে থাকবেন। ভ্যাকসিন কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে, তাও হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যগুলিকে এর প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
