কৃষক আন্দোলন আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। বললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন যে দ্রুত এই মর্মে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এদিন শরদ পাওয়ার বলেন, ‘আমার তথ্য অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৭০০টি ট্রাক্টরে করে প্রতিবাদীরা দিল্লী সীমানায় এসেছে। যদি কেন্দ্র কোনও সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে এই আন্দোলন আরও দীর্ঘায়িত হবে।’
বর্তমান পরিস্থিতির জন্যে সরাসরি কেন্দ্রকে দায়ী করে শরদ পাওয়ার এদিন বলেন, ‘এর আগে বিরোধী দলগুলি বারবার কেন্দ্রকে বলেছিল যে তড়িঘড়ি করে এই আইন যাতে পাশ না করা হয়। এই আইন কৃষক বিরোধী হতে চলেছে। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেয়নি কেন্দ্র। সংসদের দুই সভাতেই কোনও আলোচনা ছাড়া ১৫-২০ মিনিটেই পাশ হয়ে যায় এই আইনগুলি।’
ইতিমধ্যেই কৃষি আইন নিয়ে একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে পড়ে রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম মামলাগুলি হল, ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা, আরজেডি-র রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা, ছত্তিশগড় কিষান কংগ্রেসের রাকেশ বৈষ্ণবের করা মামলা। সেই মামলাগুলির প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত গত ১২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাব তলব করেছিল। কৃষকদের করা মামলায় দিল্লীর সীমানায় চলা বিক্ষোভ এবং সরকারের সঙ্গে হওয়া আলোচনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে পাঁচবার বৈঠক করেছেন কৃষক সংগঠনগুলি। তবে সমস্যা মেটেনি। মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবে চিঁড়ে ভেজেনি৷ এই আবহে কৃষকদের ডাকা ১২ ও ১৪ তারিখ দেশজুড়ে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হবে। কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের দাবি না মিটলে তাঁরা রেল অবরোধের পথেও যাবেন৷