কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিন দিন আরও দানা বাঁধছে কৃষক আন্দোলন। এবারে কৃষক বিক্ষোভের ভিত ও জোর বৃদ্ধি করে পঞ্জাবের একাধিক জেলা থেকে যোগদান করছেন আরও ৫০ হাজার কৃষক, সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে এমনটাই। বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছে আরও ১২০০ টি ট্রাক্টর। যাতে রয়েছে বিক্ষোভরত কৃষকদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত। পঞ্জাবের ফিরোজপুর, ফজিলকা, আবোহার, ফরিদকোট ও মোগা থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন এই ৫০ হাজার কৃষকেরা। ১২০০টি ট্রাক্টরে করে দিল্লী যাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিটি ট্রাক্টরে মজুত করা রয়েছে ৬ মাসের খাবার দাবার। এই নিয়ে ১৬ দিনে পা দিল কৃষক আন্দোলন।
মজদুর সংঘর্ষ কমিটির প্রধান সতনাম সিংহ পান্নু সম্প্রতি এক সূত্রকে জানান, দিল্লীতে মৃত্যু পর্যন্ত বরণ করতে প্রস্তুত তাঁরা। কিন্তু আইন প্রত্যাহারের দাবি থেকে পিছু হটবেন না। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত দিল্লীর এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নন তাঁরা, দিয়েছেন এমন হুঁশিয়ারি।
মুহুর্মুহু কৃষকদের এই জোরালো প্রতিবাদে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। উত্তাল রাজধানী। কার্যত অবরুদ্ধ দিল্লী প্রবেশের সব রাস্তা। কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও মেলেনি সুরাহা সূত্র। বৃহস্পতিবার কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর ও খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, এই কৃষক বিক্ষোভের পিছনে কোন দলের পরোক্ষ হাত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখুক মিডিয়া সংবাদমাধ্যমের কাছে কেন্দ্রের আবেদন, এই বিপুল কৃষক বিক্ষোভের পিছনে মদতদাতাদের শীঘ্রই প্রকাশ্যে আনা হোক। যদি তাঁদের বিক্ষোভে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও পটভূমি নেই বলেই সরাসরি জানিয়েছেন কৃষকরা। “এই বিদ্রোহ কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের মদতে হচ্ছে না। এটা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।” এমনই দাবি কৃষকদের।
কৃষিমন্ত্রী তোমর জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের ক্ষমতা রয়েছে, কোনও ঘটনা থেকে সত্য প্রকাশ করার। তাই এই কৃষক বিক্ষোভের পিছনে কাদের হাত রয়েছে, তা খুঁজে বের করুক গণমাধ্যমগুলি। কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষকদের দাবি দাওয়া ও আবেদন খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্র। সংশোধিত বিলের খসড়াও পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তাতেও মানতে রাজি নন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। খসড়া নিয়ে আলোচনা চাইছে কেন্দ্র। তবে সংশোধনী নয়, আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই এখনও অনড় কৃষকেরা।