“তৃণমূল কংগ্রেস মা-মাটি-মানুষের দল। এখানে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই শেষ কথা। এখানে কোনও দাদার স্থান নেই।” তৃণমূলের প্রথম শহীদ প্রধান সিং মুড়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরুলিয়ায় এসে শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে এভাবেই কথা বললেন রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো।
এই সভা ছিল বাঘমুন্ডির বাড়েরিয়া মোড়ে। বেশ কয়েকবছর আগে সেখানেই ওই শহীদ নেতার মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সেই মূর্তিতে মালা দিয়েই নাম না করে শুভেন্দুকে বেঁধেন জঙ্গলমহলের নেতা ছত্রধর। তাই অতীত দিনের আন্দোলনের কথা এদিনের সভা থেকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। ছত্রধর বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দোপাধ্যায়ই শেষ কথা। এখানে কোনও দাদার স্থান নেই। আপনাদের সংগ্রামের জন্যই আজ জঙ্গলমহল। আপনাদের ঘাম-রক্ত ঝরেছিল বলেই আজ জঙ্গলমহলের পরিবর্তন।”
তাঁর কথায়, জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সম্মান দিয়েছেন। তার মানে জঙ্গলমহলের প্রত্যেকটা মানুষকে সম্মান দিয়েছেন। তাই ২০২১-এ সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এখানে পদ্মফুলের কোনও স্থান নেই। গত লোকসভা ভোটে ভুল বুঝিয়ে এই জঙ্গলমহল থেকে ভোট লুঠ করেছিল বিজেপি। বামফ্রন্টের হার্মাদরাই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে ভোট লুঠ করেছে।
জঙ্গলমহলের জনজাতি মানুষজনের কাছে বিজেপি যে কত বড় বিপদ এদিন তাঁর বক্তৃতায় প্রত্যেকটা শব্দে শব্দে সেই কথা তুলে ধরেন ছত্রধর। তাঁর কথায়, “২০২১-এ নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই। বিজেপি এলে আপনাদের জাহের থান থাকবে না। সেখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা করবে। এরা যা বলবে তাই করতে হবে। এদের নীতিটাই এমন।”
বিজেপির কথা না শুনলে তারা যে ভাবে প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করেন নিজেকে দিয়ে সেই কথাই তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি দিলীপ ঘোষের প্রস্তাবে সাড়া দিইনি তাই যে মামলায় আমি ছাড়া পেয়েছি সেই মামলা ওরা নতুন করে শুরু করতে চাইছেন। তাই এনআইএকে লেলিয়ে দিয়েছেন।”