প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় এদিন দুপুরে আচমকা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর করোনা হয়নি। ওষুধে সাড়াও দিচ্ছেন, বাইপ্যাপে স্থিতিশীল আছেন। কিন্তু সন্ধে গড়াতেই সঙ্কট বাড়ল তাঁর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাঁর দেহে আচমকাই বেড়ে গিয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা। এমনকি মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনেও দিতে হয়েছে তাঁকে। স্বাভাবিকভাবে তিনি অক্সিজেন নিতে পারছেন না।
এদিন বিকেলেই হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “উনি খুব কষ্ট পাচ্ছেন, আমরা দেখলাম। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ শরীরে বেশি। উনি দ্রুত সেরে উঠুন।” খানিক আগে ফিরহাদ হাকিমও বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করতে যান হাসপাতালে। যান বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্রও। সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, অচেতন অবস্থায় রয়েছেন বুদ্ধবাবু, অবস্থা খুব একটা ভাল নয়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বুদ্ধবাবুর জন্য। সে বোর্ড আরও বড় করা হবে। এখনও পর্যন্ত তাঁর হার্টবিট এবং প্রেশার স্বাভাবিক আছে কোনও যন্ত্রের সাপোর্ট ছাড়াই। বাকি সবরকম পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অবস্থা স্থিতিশীল হলে ফুসফুসের সিটি স্ক্যানও করা হবে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বুদ্ধবাবু ‘ল্যাকুনা ইনফ্র্যাক্ট’ অসুখে আক্রান্ত। এটি একটি বিশেষ ধরনের স্ট্রোক। এই স্ট্রোকে রক্তক্ষরণ হয় না। তবে এক্ষেত্রে রক্ত কমে যাওয়ায় মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে কোষের মৃত্যু ঘটে। একে বলে ইসচেমিক স্ট্রোক বা থ্রম্বোসিস। সিটি স্ক্যানেও অনেক সময়ে এই রোগ ধরা পড়ে না। ফলে সামগ্রিক ভাবে দুশ্চিন্তাতেই আছেন সকলে।