আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে দিল্লীর কৃষক আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠবে বলে এদিন জানালেন সেখানে আন্দোলনরত কৃষক নেতারা। তাঁরা স্থির করেছেন, দিল্লী-জয়পুর হাইওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে, রিলায়েন্সের মল বয়কট করা হবে এবং দখল করা হবে বিভিন্ন টোল প্লাজা। আন্দোলনকারী চাষিদের উদ্দেশ্যে লিখিত প্রস্তাব পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, নতুন কৃষি আইন সংশোধন করা হবে। কী কী সংশোধন করা হবে তাও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা সেই প্রস্তাব একবাক্যে নাকচ করে দিয়েছেন।
১৩ টি কৃষক ইউনিয়নকে সরকার জানায়, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া নিশ্চিত করা হবে। বিরোধ মীমাংসার জন্য চাষিরা সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে না গিয়ে সরাসরি কোর্টে যেতে পারবেন। ইলেকট্রিসিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিলও প্রত্যাহার করা হবে। কৃষকরা আশঙ্কা করছিলেন, নতুন আইনে কর্পোরেট সংস্থাগুলি সহজে কৃষিজমি কিনে নিতে পারবে। সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, তেমনটা হবে না। মান্ডির বাইরে যে ব্যবসায়ীরা ফসল কেনাবেচা করবেন, সরকার তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করাবে। এপিএমসি মান্ডিতে রাজ্য সরকার যেমন সেস ও কর বসায়, তার তা বসানো যাবে।
দিল্লী-হরিয়ানা সীমান্তের সিংঘু অঞ্চলে এদিন সরকারের প্রস্তাবগুলি নিয়ে কৃষক নেতারা আলোচনা করেন। পরে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবগুলি নিয়ে আজ আলোচনা করেছি। তবে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা দিল্লী থেকে ফিরে যাবে না। সরকার যদি অনড় হয় তবে কৃষকরাও অনড়।”
মঙ্গলবার কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে পালিত হয়েছে ভারত বন্ধ। তারপর এদিনই সন্ধেবেলা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষকরা। কিন্তু তারপরেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। গত শনিবারই কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক হয়েছে দীর্ঘ সাত ঘণ্টার। কিন্তু আন্দোলনের কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি সেখানে। কৃষক নেতারা সরকারকে জানিয়ে দেন, সেপ্টেম্বর মাসে পাস হওয়া তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা হলে তাঁরা কোনও রকম ভাবেই আপস করবেন না। আর এক্ষেত্রে কর্পোরেটদের প্রবেশ তাঁরা মেনে নেবেন না কোনও কিছুর বিনিময়ে।