রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের কাজ আরও গুরুত্ব সহকারে এগিয়ে নিয়ে যেতে একজন করে নোডাল অফিসার ঠিক করার নির্দেশ দেওয়া হল প্রতিটি স্কুলকে। কন্যাশ্রী পোর্টালের আওতায় থাকা রাজ্যের সবকটি স্কুলকে এই অফিসার নিযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, প্রতিটি স্কুল একজন করে শিক্ষককে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি দেখভাল করার জন্য দায়িত্ব দেবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের হাতে ওই স্কুলের কন্যাশ্রী সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ দেখভালের দায়িত্ব থাকবে। সম্প্রতি সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে এই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “কন্যাশ্রী প্রকল্প দেখভালের জন্য একজন নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। স্কুলে কে-ওয়ান স্তরে কোনও ছাত্রী যদি কন্যাশ্রীর আওতাভুক্ত না হন তাহলে কে-টু স্তরে গিয়ে তাঁর নাম নথিভুক্তিকরণে সমস্যা দেখা দেওয়ায় সম্ভাবনা তৈরি হয়। স্কুলের তরফে একজন আধিকারিক যদি কন্যাশ্রী প্রকল্পটি দেখভাল করেন, তাহলে কোনও ছাত্রীকে বঞ্চিত হতে হবে না।
সরকারি প্রকল্পগুলিকে মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য। এই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বাংলার প্রতিটি প্রান্তে। স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী-সহ সরকারি স্কলারশিপগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে। এই অবস্থায় দাড়িয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে আরও বেশি জনমুখী করে তুলতে নোডাল অফিসার পদ তৈরীর নির্দেশ সরকারের। রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এর ফলে কন্যাশ্রী উপভোক্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করছে সংগঠনগুলি।